ব্যুরো রিপোর্ট: ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। গতকালের পর ফের বাড়ল দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২০৬৭ জন। ইতিমধ্যেই দিল্লির করোনা গ্রাফ ভয় ধারাতে শুরু করেছে। ৫ রাজ্যকে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
দিল্লির পরিস্থিতি মোকাবিলায় আজ বৈঠকে বসছে পুরসভা অবং স্বাস্থ্যদফতর।নতুন করে ভয় ধরাচ্ছে দেশের করোনা গ্রাফ। গত ২ দিন ধরে ২০০০-র উপরে উঠে গিয়েছে দৈশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ। বাড়ছে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যাও। গত কয়েকদিন দেশে করোনা অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে।
বেড়েছে পজিটিভিটি রেটও। তার উপরে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলায় ফের আতঙ্ক মাথাচারা দিয়েছে। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ৫ রাজ্যকে সতর্ক করা হয়েছে।দিল্লি, হরিয়ানা, মিজোরাম, মহারাষ্ট্র এবং উত্তর প্রদেশকে সতর্ক করেছে কেন্দ্র। বিশেষ করে রাজধানী দিল্লিতে গত কয়েক দিনে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ অনেকটাই বেড়েছে।
এইনিয়ে আজ জরুরি বৈঠকে বসছে দিল্লি পুরসভা। কীভাবে জনজীবন স্বাভাবিক রেখে করোনা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় তার উপায় নির্ধারণ করতেই মূলত এই বৈঠক বলে মনে করা হচ্ছে।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল আধিকারীকদের পরিস্থিতি মোকাবিলায় কড়া নির্দেশ দিয়েছেন।দিল্লির পাশাপাশি উত্তর প্রদেশের নয়ডা এবং গুরুগ্রামেও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে।
নয়ডা এবং গুরুগ্রামের একাধিক জায়গায় স্কুলে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। সেকারণে অনেক স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। স্কুলে পড়ুয়াদের মধ্যে সংক্রমণ বাড়ছে। সেকারণেই নয়ডা এবং গুরুগ্রামে নতুন করে মাস্ক বিধি কড়া করা হয়েছে।
একই ভাবে চণ্ডীগড়েও মাস্ক বিধি কড়া করা হয়েছে।কেন্দ্রের তরফে বুস্টার ডোজের করোনা টিকাকরণে জোর দেওয়া হয়েছে। এদিকে চিনের সাংহাইয়ে করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ আকার নিয়েছে সেখানে করোনা সংক্রমণে নতুন করে ৭ জন মারা গিয়েছে।
লকডাউন ঘোষণার পরেও করোনা সংক্রমণ সেখানে নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। সেই পরিস্থিতে দেশ যাতে না পৌঁছয় সেকারণে আগে থেকেই রাজ্যগুলিকে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
এদিকে মহারাষ্ট্র এবং কেরল আগে থেকেই করোনা মোকাবিলার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। কারণ পর পর তিনটি ওয়েভেই সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়িয়েছিল এই দুই রাজ্যে।