ব্যুরো রিপোর্ট: করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট হাজির। ওমিক্রনের থেকেও বেশি সংক্রামক সেই ভ্যারিয়েন্ট। গবেষকরা তার নাম দিয়েছেন ‘ আই এইচ ইউ’। ফ্রান্সে ছড়িয়ে পড়েছে এই নতুন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ। করোনা মহামারীর প্রথম থেকেই হটস্পট হয়ে উঠেছিল ফ্রান্স।
দ্বিতীয় দফাতেও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক আকার নিয়েছিল ফ্রান্সে। এবার নতুন ভ্যারিয়েন্টের থাবায় কাঁপছে ইউরোপের এই দেশএকা ওমিক্রনে রক্ষে নেই এবার বিশ্বে হাজির হয়ে গিয়েছে করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট আইএইচইউ।
ডেল্টার চেয়ে সংক্রামক ওমিক্রন। এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট আবার ওমিক্রনের থেকেও সংক্রামক বলে দাবি করেছেন ফ্রান্সের গবেষকরা । বি.১.৬৪০.২ বা ‘আই মিস ইউ’। ইতিমধ্যেই ফ্রান্সের মার্সেসের ১২ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের এই ভ্যারিেয়ন্টের সংক্রমণ ধরা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ফ্রান্সের চিকিৎসক এবং গবেষকরা দাবি করেছেন ওমিক্রনের থেকেও বেশি সংক্রামক এই ভ্যারিয়েন্ট। ভয়ঙ্কর তার প্রকৃতি। গবেষকরা জানিয়েছেন প্যাঙ্গোলিনের শরীরে যে ভাইরাসের হদিশ মিলেছিল এটা সেই প্রজাতিরই।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য করোনা ভাইরাসও প্যাঙ্গোলিনের শরীর থেকেই মানব দেহে সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করে। চিনেই প্রথম প্যাঙ্গোলিনের মাংস থেকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ হতে শুরু করেছিল।২০২১ শেষ হওয়ার আগেই দক্ষিণ আফ্রিকায় শুরু হয়েছিল ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ।
সেটা বাড়তে বাড়তে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ গোটা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভয়াবহ আকার নিয়েছে। ইতিমধ্যেই বিশ্বের একাধিক দেশ ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ রুখতে ফের লকডাউনের পথে হাঁটতে শুরু করেছে।
তবে আশার কথা ওমিক্রন সংক্রমণ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের মত ভয়াবহ নয়। মৃদু উপসর্গ দেখা দিচ্ছে ওমিক্রন আক্রান্তদের শরীরে।দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভারতেও হানা দিয়েছে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ। ১ মাসের মধ্যে সেই সংক্রমণ ১৯০০-তে পৌঁছে গিয়েছে।
ভারতেও একাধিক রাজ্যে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ রুখতে করোনা বিধি কড়া করেছে। দিনে ৩৭ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে ভারতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। থার্ড ওয়েভ শুরু হয়ে গিয়েছে বে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
একের পর এক আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে ভারতে।করোনা সংক্রমণ নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে চিনেও। ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিায় ফের লকডাউন জারি করা হয়েছে চিনের একাধিক প্রদেশে।
২০২০ সালের শুরুতেই চিনেকর উহান প্রদেশ থেকে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে। ২ বছর পার করে গেলেও সেই মহামারী থেকে মুক্ত হতে পারেনি বিশ্ব। তবে হু দাবি করেছে যদি সকলে সচেতন থাকেন এবং উপযুক্ত সময়ে পদক্ষেপ করতে পারেন তাহলে ২০২২ সালেই মহামারী থেকে মুক্তিপাবে গোটা বিশ্ব।