ব্যুরো রিপোর্ট: ১৫৫টিরও বেশি কম্পন অনুভূত হয়েছে জাপানে। রিখটার স্কেলে তীব্রতা 7.6 ছিল বলে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, বেশির ভাগ কম্পনের মাত্রাই ৬ এর উপর ছিল বলেও জানাচ্ছে জাপানের আবহাওয়া দফতর। এমনকি আজ বছরের দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ আজ মঙ্গলবারও জাপানে শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
যার ফলে জাপানজুড়ে তীব্র আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।একের পর এক কম্পন অনুভূত হওয়ায় বহু মানুষকে সে দেশে প্রাণ বাঁচাতে রীতিমত ছোটাছুটি করতে দেখা গিয়েছে। যদিও স্থানীয় মানুষকে আতঙ্কিত না হয়ে সাবধানে থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে। পুরো উদ্ধারকাজের উপর নজর রাখছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশদা ।
তিনি জানিয়েছেন, বছরের শুরুতেই ভয়ঙ্কর বিপর্যয় নেমে এসেছে জাপানের বুকে। একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ভেঙে পড়েছে বাড়ি। যদিও দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু করা গিয়েছে বলে জানিয়েছেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী।বলে রাখা প্রয়োজন, সোমবার ভয়াবহ কম্পন অনুভূত হয় জাপানে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭ এর বেশি।
এমনকি এরপরেই আছড়ে পড়ে সুনামি। কার্যত তছনছ হয়ে যায় জাপানের একাংশ। আর এরপরেই একাধিক আফটার শকের বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয় স্থানীয় আবহাওয়া দফতরে। এমনকি ফের একবার সুনামি আছড়ে পড়তে পারে বলেও সতর্ক করা হয়।
যদিও সুনামি আছড়ে না পড়লেও আশঙ্কা সত্যি করে ১৫৫ টিরও বেশি আফটার শক জাপানে অনুভূত হয়েছে বলে প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়েছে।বেশিরভাগ ভূমিকম্প 3 মাত্রার উপরে ছিল এবং যদিও তীব্রতা ধীরে ধীরে হ্রাস পেয়েছে,
তবুও মঙ্গলবার ভোরে ছয়টি শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাপানের আবহাওয়া অফিস। ইতিমধ্যে সে দেশে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে সে দেশে। বহু মানুষের খোঁজ নেই। যদিও এক হাজারেরও বেশী মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে।