ব্যুরো রিপোর্ট: করোনা সক্রিয় কমছে দেশে। বুধবার ১২ হাজারের নীচে নেমে গিয়েছে করোনা সক্রিয়ের সংখ্যা। তবে এদিন করোনার দৈনিক সংক্রমণ খানিকটা বাড়ল। টানা দুদিন করোনার সংক্রমণ হাজারের নীচে নেমে গিয়েছিল। এদিন আবার তা হাজারের উপরে উঠে গেল। এদিন করোনায় মৃতের সংখ্যাও ফের একটু বাড়ল।
করোনার মহামারী থেকে ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছে ভারত। ৩১ মার্চ দেশ থেকে উঠে গিয়েছে কোভিড বিধা। এখন শুধু মাস্ক আর দূরত্ব রেখে চলার নিয়ম বলবৎ রয়েছে। এই অবস্থায় সংক্রমণ একটু বাড়লেও সক্রিয়ের সংখ্যা কমল।
করোনায় মৃতের সংখ্যা এদিন ফের একটু বাড়ল। দেশের বুকে করোনায় মৃতের সংখ্যা বা মৃত্যু হার নিয়ে এখনও চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা।করোনার দৈনিক সংক্রমণ গ্রাফে কদিন ধরেই দেখা মিলেছে স্বস্তির ছবি।
ভারতে করোনার দৈনিক সংক্রমণ হাজারের নীচে নেমে গিয়েছিল। টানা দু-দিন করোনার সংক্রমণ হাজারের নীচে ছিল। এদিন তা একটু বেড়ে হাজারের উপরে উঠেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্যে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারতে ১০৮৬ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছেন।
এই মুহূর্তে দেশে করোনার মোট সংক্রমণ ৪ কোটি ৩০ লক্ষ ৩০ হাজার ৯২৫।ভারতে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে সুনামির আকার নিতে শুরু করেছিল সংক্রমণ। সেইসঙ্গে আবার দেশে করোনায় মৃত্যু সংখ্যাও বেড়ে গিয়েছিল বহুগুণ।
করোনায় মৃতের সংখ্যা ১২০০-র উপরে উঠে গিয়েছিল একটা সময়ে। সেখান থেকে কমে ২০-এর নীচে নেমে যায় করোনায় দৈনিক মৃতের সংখ্যা। এদিন করোনার দৈনিক মৃতের সংখ্যা ফের বেড়ে হয়েছে ৭১। করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৫,২১,৫১৮-এ পৌঁছে গিয়েছে।
ভারতে গত ২৪ ঘন্টায় মোট ১ হাজার ১৯৮ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন, যা সারা দেশে মোট করোনামুক্তের সংখ্যাকে পৌঁছে দিয়েছে ৪,২৪,৯৭,৫৬৭-তে। করোনামুক্তের সংখ্যা দৈনিক আক্রান্তের থেকে বেশি। এদিন করোনা সক্রিয় কমেছে ১৮৩ জন।
এই মুহূর্তে করোনা সংক্রিয়ের সংখ্যা ১১ হাজার ৮৭১ জন। রবিবারের পরিসংখ্যানে দেশে সংক্রমণের গ্রাফ যথেষ্ট কমলেও মৃত্যুহার নিয়ে উদ্বেগ জারি রয়েছে। করোনার দৈনিক সংক্রমণ, সংক্রমণের হার ও করোনা মুক্তের সংখ্যায় স্বস্তি ফিরেছে।
কেরলে সংক্রমণ এখনও অন্য রাজ্যের তুলনায় অনেকটাই বেশি। এদিনও করোনার সর্বোচ্চ সংখ্যা নথিভুক্ত হয়েছে কেরলে। কেরলে সংক্রমিত হয়েছেন ৩৫৪ জন। সেখানে মহারাষ্ট্রে সংক্রমিত হয়েছেন ১৩৬ জন মাত্র। কর্নাটকে সংক্রমিত ২৯ জন।
আর বাংলায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩৪ জন। দিল্লিতে সংক্রমিত হয়েছেন ১১২। উত্তরপ্রদেশে ৩৬ জন। করোনার মোট সংক্রমণে শীর্ষ পাঁচটি রাজ্যের মধ্যে সবার প্রথম মহারাষ্ট্র।
তারপরে রয়েছে কেরল। কর্নাটক রয়েছে তিন নম্বরে। পশ্চিমবঙ্গ রয়েছে ৭ নম্বরে। পশ্চিমবঙ্গের উপরে রয়েছে তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশ। দৈনিক সংক্রমণে সবার উপরে কেরল। তারপর রয়েছে কর্নাটক, তারপর মহারাষ্ট্র।