অসমে বন্যায় বাড়ছে মৃতের সংখ্যা, জলবন্দি শিলচরের মানুষের কাছে ত্রাণ পাঠাতে ভরসা বায়ুসেনা

অসমে বন্যায় বাড়ছে মৃতের সংখ্যা, জলবন্দি শিলচরের মানুষের কাছে ত্রাণ পাঠাতে ভরসা বায়ুসেনা

ব্যুরো রিপোর্ট:  অসমে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি। বন্যা, প্রবল বৃষ্টিপাত ও ভূমিধসের কারণে রাজ্যে ইতিমধ্যে ১২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। কাছাড় জেলার শিলচর শহর টানা সাতদিন জলের তলায়। শহরে খাদ্য ও পানীয় জলের তীব্র আকাল দেখা দিয়েছে। শিলচরে প্রায় তিন লক্ষের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। উদ্ধারকর্মীরা জলবন্দি মানুষের কাছে ত্রাণ পাঠানোর চেষ্টা করছেন।

বায়ুসেনার সাহায্যে শিলচরের জলবন্দি স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে ত্রাণ পাঠানো শুরু হয়েছে। হেলিকপ্টারের সাহায্যে এই ত্রাণ পাঠানো হচ্ছে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত জলবন্দি মানুষের কাছে এভাবেই ত্রাণ পাঠানো হবে। পাশাপাশি শিলচরে অসুস্থ মানুষকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

বর্তমানে শিলচরে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ২০৭ জন উদ্ধারকর্মী রয়েছেন। পাশাপাশি ১২০ জন সেনার একটি দল শিলচরে উদ্ধারের সাহায্য করছে। ডিমাপুর থেকে নয়টি নৌকা শিলচরের কাছে রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে উদ্ধারকার্যে তা ব্যবহার করা হবে। শিলচরে উদ্ধার কাজে দুটো ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে।

সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, খারাপ আবহাওয়ার জন্য মাঝে উদ্ধারকাজ ব্যহত হয়। নতুন করে উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। সেনাবাহিনীর স্পিয়ার কর্পাসের অধীনে শ্রীকোনা ব্যাটেলিয়ন শুক্রবার ১৪০ জনকে উদ্ধার করেছে।আকাশপথে বৃহস্পতিবার শিলচরের বন্যাপরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান,

শিলচরের জলবন্দি মানুষকে উদ্ধার করতে অতিরিক্ত উদ্ধারকর্মী পাঠানো হবে। রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, কাছাড় ও বারাক উপত্যকা বন্যায় সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। রাজ্য সরকার ৮৫.২ মেট্রিক টন ত্রাণ সামগ্রী ইতিমধ্যে গুয়াহাটি থেকে শিলচরে পাঠিয়েছে।

রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বন্যার জেরে ৩১২টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। একদিনে কম পক্ষে ১০ জন বন্যা ও ভূমিধসের কারণের মারা গিয়েছে। অসমের কিছু জেলায় বন্যা পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে। ভয়াবহ বন্যার জেরে ২৮টি জেলার প্রায় ৩৩ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।

আগে অসমের ৩০টি জেলার ৪৫ লক্ষের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিলেন। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, নগাঁওয়ের ধুবড়ি, কাপিলিতে ব্রহ্মপুত্রের জল বিপসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও জলস্তর ধীরে ধীরে কমছে। অসমের ২৮টি জেলার ৩,৫১০টি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। করিমগঞ্জ, লখিমপুর, মাজুলি, নগাঁও, নলবাড়ি, সোনিতপুর, দক্ষিণ সালমারা অঞ্চল এখনও জলের তলায়।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *