ব্যুরো রিপোর্ট: বিসর্জন চলাকালীন ভয়াবহ দুর্ঘটনা। হঠাত করেই মালবাজারের মাল নদীতে হরপা বান। আর সেই সময়ে অনেকেই বিসর্জন করছিলেন নদীতে নেমে। আর সেই সময়ে হরপা বান আসায় বেশ কয়েকজন ভেসে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এমনকি নদীর মাঝখানে বিসর্জনের গাড়িও আটকে পরেছে বলে জানা যাচ্ছে।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।ঘটনার পরেই উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত সাতজনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে বলে খবর। যদিও জেলা প্রশাসন জানাচ্ছে, ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দুজনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে মৃতের সংখ্যা নিয়ে একটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩০ থেকে ৪০ জন নিখোঁজ হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিশাল পুলিশবাহিনী । এমনকি জেলা প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিকরাও দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছছেন বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও উদ্ধার কাজে নামানো হয়েছে বলে খবর।
কিন্ত্য রাত হয়ে যাওয়ার কারণে উদ্ধারকাজে বেশ সমস্যা হচ্ছে।যদিও পর্যাপ্ত লাইট নিয়ে এসে উদ্ধারকাজ সারারাত চলবে বলেই খবর। জানা যাচ্ছে, বিসর্জনকে কেন্দ্র করে বুধবার সন্ধ্যায় মাল নদীতে একের পর এক দুর্গা প্রতিমা নিয়ে আসা হয়েছিল। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গাতে প্রতিমা নিরঞ্জন ছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, ঘটনার সময় কয়েকশ মানুষ ঘাতে ছিল।কিন্তু হঠাত করেই নদীতে হড়পা বান চলে আসে। আর মুহূর্তে একাধিক মানুষকে ভাসিয়ে নিয়ে চলে যায়। সবাই সবাইকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয় সবাই। একাধিক মহিলা এবং শিশুকেও ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
তবে ঘটনার পরেই সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বিসর্জন।জানা যাচ্ছে, গত কয়েকদিন ধরেই উত্তরবঙ্গের একাধিক জায়গাতে বৃষ্টি হয়েছে। আর এর ফলে পাহাড় থেকে জল নামতে শুরু করে। আর তাতেই এত বড় বিপত্তি বলে দাবি।
কিন্তু নদীর বিপজ্জনক চরিত্র জানা থাকা সত্ত্বেও বিসর্জনের অনুমতি কীভাবে দেওয়া হল তা নিয়ে প্রশ্ন উইঠতে শুরু করেছে।এমনকি যথেষ্ট সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা কেন নেওয়া হয়নি তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আতঙ্ক এলাকায়।
বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এলাকায়। কাউকে ঘেষতে দেওয়া হচ্ছে না। চূড়ান্ত সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে। কিন্ত্য কেন ঘটনার পরে এত কিছু তা নিয়ে ক্ষুব্ধ স্থানীয় মানুষজন।