ব্যুরো রিপোর্ট: ক্যানিং-শিয়ালদহ ফার্স্ট লোকাল বাতিল। শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় তালদি স্টেশনে তুমুল যাত্রী বিক্ষোভ। রেল লাইনে বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন যাত্রীরা। রেল লাইনের পাত তুলে দেওয়া হয়েছে।
যার যেরে ট্রেন চলাচল সকাল থেকেই বন্ধ রয়েছে। অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে আপ লাইনের ট্রেন চলাচল। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছলেও যাত্রীরা বিক্ষোভে অনড়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য করোনার কারণে ট্রেন চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।
রাত ১০টা পর্যন্ত চলছে লোকাল ট্রেন।ভোর সাড়ে ৫টা থেকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছিলেন যাত্রীরা। সেই বিক্ষোভ এখনও থামেনি। যাত্রীদের অভিযোগ ক্যানিং লাইনে ফার্স্ট লোকাল এবং তার পরের লোকাল ট্রেনটি বাতিল করে দেওয়া হয়।
আর এই দুটি ট্রেনেই সবচেয়ে বেশি যাত্রী শহরে যান। বিশেষ করে শহরের বিভিন্ন কাজে এই দুটি ট্রেনেই বেশি যাত্রী যান ক্যানিং লাইনে। কিন্তু আগে থেকে না জানিয়েই পর পর দুটি ট্রেন বাতিল করে দেওয়ায় তাঁদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।
প্রতিবাদে রেল লাইনে বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন যাত্রীরা। এদিকে বিক্ষোভের জেরে দীর্ঘক্ষণ ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নিত্যযাত্রীদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে তালদি স্টেশন।
বিক্ষোভকারীরা রেললাইনের পাত তুলে দিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বলে অভিযোগ। যার জেরে শিয়ালদাগামী কোনও ট্রেনই যেতে পারছে না সেখান দিয়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থে পৌঁছেছেন রেলপুলিশ এবং রেলের আধিকারীকরা।
কিন্তু দীর্ঘক্ষণ হয়ে গেলেও ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়নি। এখনও বিক্ষোভে অনড় রয়েছেন তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ভোর ৩টে ৪৫-এর প্রথম ট্রেন বাতিল হওয়ায় অনেকেরই শহরে কাজে যেতে সমস্যা হয়।
তাঁদের দাবি, কোনওভাবেই এভাবে ট্রেন বাতিল করা যাবে না।এদিকে করোনা সংক্রমণের কারণে এখন রাত ১০টা পর্যন্ত লোকাল ট্রেন চলছে। আগে সন্ধে ৭টাতেই শেষ লোকাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটা নিয়ে বিক্ষোভ দেখান যাত্রীরা।
সোমবারেই এই নিয়ে শিয়ালদহ স্টেশনে বিক্ষোভ দেখান যাত্রীরা। তারপরেই সন্ধে সাতটার পরিবর্তে রাত ১০টা করে দেওয়া হয় শেষ লোকাল ট্রেন। করোনা সংক্রমণ রুখতে ট্রেনের সংখ্যাও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে সমস্যায় পড়েছেন যাত্রীরা।
তারপরে ট্রেন বাতিল হলে আরও সমস্যা বাড়বে বলে অভিযোগ করেছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে সোনারপুর থেকে রেলের আধিকারিকরা পৌঁছেছেন ঘটনাস্থলে।