ব্যুরো রিপোর্ট: প্রাপ্তবয়স্কদের কোভিড–১৯ ভ্যাকসিন এসে গেলেও শিশুদের জন্য করোনা টিকাকরণ এ দেশে এতদিনেও শুরু হয়নি। অথচ কোভিডের তৃতীয় ওয়েভে শিশুদের ভয় সবচেয়ে বেশি। তবে এই সমস্যা খুব শীঘ্রই সমাধান হবে।
কোভিড–১৯ বিশেষজ্ঞ কমিটি ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিনকে জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছে। এই ভ্যাকসিন ২–১৮ বছরের শিশুদের ওপর প্রয়োগ করা যাবে।হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন ইতিমধ্যেই দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল সম্পূর্ণ করেছে,
সেপ্টেম্বরে ১৮ বছরের নীচে শিশুদের ওপর এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল করা হয়েছিল। এরপর এই ট্রায়ালের তথ্য অক্টোবরের গোড়ার দিকে জমা দেওয়া হয় ডিসিজিআই–এর কাছে।
কোভ্যাকসিন ট্রায়ালের তথ্য খতিয়ে দেখার পরই ২–১৮ বছরের শিশুদের ভ্যাকসিনের ওপর জরুরি ব্যবহারে অনুমোদন দিয়েছে। তবে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদনের ওপর কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে।
কোভ্যাকসিনের ডেভেলপার সমগ্র ভাইরন, নিষ্ক্রিয় করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন অনুমোদিত ক্লিনিকাল ট্রায়াল প্রোটোকল অনুসারে গবেষণা চালিয়ে যাবে।এছাড়াও এই সংস্থা ভ্যাকসিনের সুরক্ষা সংক্রান্ত সব তথ্য জমা দিয়েছে। অন্যদিকে,
হু এখনও কোভ্যাকসিনকে জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেয়নি। ভারত বায়োটেক সমস্ত তথ্য জমা দেওয়ার পরও পর্যালোচনা প্রক্রিয়া শেষ হতে ছয় সপ্তাহ সময় নেয়, যা জুলাইয়ের শেষের দিকে শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, কেন্দ্র সরকার শীঘ্রই এ বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করবে। এরপরই শিশুদের টিকা দেওয়া শুরু হবে। বলা হয়েছে যে, শিশুরাও প্রাপ্তবয়স্কদের মতো কোভ্যাকসিনের এর দু’টি টিকা পাবে। এখনও পর্যন্ত পরিচালিত ট্রায়ালে শিশুদের কোনও ক্ষতি হওয়ার লক্ষণ দেখা যায়নি।
সূত্রের খবর, যেসব শিশুদের হাঁপানি,শ্বাসকষ্ট ইত্যাদির সমস্যা আছে তাদেরও টিকা দেওয়া যেতে পারে। এই ভ্যাকসিন সরকারি জায়গায় বিনামূল্যে পাওয়া হবে।
শিশুদের জন্য কোভ্যাকসিনের অনুমোদন সত্যিই স্বস্তির খবর। কারণ, করোনার তৃতীয় ওয়েভে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত শিশুরাই হবে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।