ব্যুরো রিপোর্ট: সকালেই রোদ ঝলমলে আকাশ। কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। অস্বস্তির আবহাওয়া থেকে যে রেহাই মিলবে না, তা এর থেকেই পরিষ্কার। তবে বঙ্গোপসাগর একটি নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
যা হলে উপকূলের জেলাগুলিতে ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।এদিন সকালে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘন্টা অর্থাৎ ১০ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালের মধ্যে উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলারই কোথাও না কোথাও হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আপাতত কোথাও ভারী বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। জেলাগুলিতে আপাতত তাপমাত্রার পরিবর্তনেরও কোনও পূর্বাভাস দেওয়া হয়নি আবহাওয়া দফতরের তরফে।এদিন সকালে দেওয়া আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে,
আগামী ৪৮ ঘন্টা অর্থাৎ ১০ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলাতেই হাল্কা থেকে মাঝারি ধরনের বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে। এই সময়ের মধ্যে কোথাও ভারী বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই।
তবে ১০ সেপ্টেম্বর থেকে উপকূলবর্তী জেলাগুলি অর্থাৎ উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুরের কোনও কোনও জায়গায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আপাতত জেলাগুলিতে তাপমাত্রা পরিবর্তনের কোনও সম্ভাবনা নেই।
এদিন সকালে দেওয়া আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় আকাশ অংশত মেঘলা থাকার সম্ভাবনা। কোনও কোনও জায়গায় বৃষ্টি কিংবা বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি হতে পারে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৪ ও ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে।
এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৮৯ শতাংশ।আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে সাধারণ অবস্থানের দক্ষিণে রয়েছে।
একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে পূর্ব-মধ্য এবং সংলগ্ন উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে। যার প্রভাবে পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। যা হলে সংলগ্ন রাজ্যগুলিতে ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
ব্র্যাকেটে আগের দিনের তাপমাত্রা
আসানসোল (২৫.৯)
বহরমপুর (২৬.৬)
বাঁকুড়া (২৫)
বর্ধমান (২৫)
কোচবিহার (২৬.৬)
দার্জিলিং ( ১৬)
দিঘা (২৭.৮)
কলকাতা (২৭.৫)
দমদম (২৭)
কৃষ্ণনগর (২৭)
মালদহ (২৭.২)
মেদিনীপুর (২৬.৫)
শিলিগুড়ি (২৭.৪)
শ্রীনিকেতন (২৫.৬)