পেনাল্টি মিস হ্যারি কেনের, ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপের শেষ চারে ফ্রান্স, রইল ভার বিতর্ক

পেনাল্টি মিস হ্যারি কেনের, ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপের শেষ চারে ফ্রান্স, রইল ভার বিতর্ক

ব্যুরো রিপোর্ট: ফিফা বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল ফ্রান্স। টানটান ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে। ম্যাচের ১৭ মিনিটে অরেলিয়াঁ শুয়ামেনির করা গোলে বিরতিতে এগিয়ে ছিল ফ্রান্স। ৫৪ মিনিটে হ্যারি কেন পেনাল্টি থেকে গোল করে সমতা ফেরান। ৭৮ মিনিটে অলিভিয়ার জিরু জয়সূচক গোলটি করেন।

এরপর সমতা ফেরানোর সুযোগ পেলেও পেনাল্টি মিস কেনের, বল অনেকটাই বাইরে মেরে বসেন। এতে ইংল্যান্ডের যাবতীয় আশা শেষ হয়ে যায়।বিশ্বকাপ ফাইনালে মরক্কোর মুখোমুখি হবে ফ্রান্স। শুয়ামেনি দুরন্ত শটে ম্যাচের প্রথম গোলটি করেন, যা জর্ডান পিকফোর্ডের নাগাল এড়িয়ে জালে জড়িয়ে যায়।

এরপর ২৫ মিনিটে পেনাল্টি বাতিলের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত। দায়োত উপামেকানো হ্যারি কেনকে যেভাবে বাধা দেন তাতে পেনাল্টির দাবি জানায় থ্রি লায়ন্স। ভার রিভিউ দেখে পেনাল্টির দাবি খারিজ করে দেন রেফারি উইলটন সাম্পাইও। তবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েও অনেকেই সংশয় প্রকাশ করেছেন।

ফুটবল বিশেষজ্ঞদের ধারণা, হ্যারি কেনের সঙ্গে তেমন সংঘর্ষ হয়নি ফরাসি ফুটবলারের। সে কারণে ফাউল দেননি রেফারি। এমনকী ঘটনাটি বক্সের বাইরে ঘটেছে বলেও রিপ্লে দেখে মনে হয়েছে। বিরতিতে ১ গোলেই এগিয়ে ছিল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হতেই গোল শোধের মরিয়া ভাব লক্ষ্য করা যায় গ্যারেথ সাউথগেটের দলের খেলায়।

শুয়ামেনি ইংল্যান্ডের সাকাকে অবৈধভাবে বাধা দিলে পেনাল্টি পায় হ্যারি কেনের দল। পেনাল্টি থেকে করা গোলে সমতা ফেরায় ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ডের হয়ে ওয়েন রুনি ৫৩টি গোল করেছিলেন, এদিন হ্যারি কেন জাতীয় দলের হয়ে পেলেন ৫৩তম গোলটি। ৭০ মিনিটের মাথায় ইংল্যান্ড এগিয়ে যাওয়ার ভালো সুযোগ পেয়েছিল। ফ্রি কিক থেকে হেডে গোল করার চেষ্টা করেছিলেন হ্যারি ম্যাগুয়ের।

যদিও তা জালে জড়ায়নি, পোস্টে প্রতিহত হয়। ফ্রান্সের জিরুর ভলি রুখে দেন ইংল্যান্ড গোলকিপার পিকফোর্ড।ফ্রান্সকে এগিয়ে দেন জিরু-ই। অঁতোয়ান গ্রিজম্যানের ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে জয়সূচক গোলটি করেন ফরাসি স্ট্রাইকার। এই গোলের পর তা শোধের সুবর্ণ সুযোগ পায় ইংল্যান্ড।

থিও হার্নান্দেজ অবৈধভাবে বাধা দিয়েছিলেন ম্যাসন মাউন্টকে। ভার রিভিউয়ের পর পেনাল্টির নির্দেশ দেন রেফারি। রুনিকে টপকে ইংল্যান্ডের সর্বাধিক গোলদাতা হওয়ার হাতছানি ছিল হ্যারি কেনের সামনে। কিন্তু স্বভাববিরুদ্ধেভাবেই তা অনেকটা বাইরে মেরে বসেন হ্যারি কেন।

এই পেনাল্টি মিসের খেসারত দিয়েই বিদায় নিল ইংল্যান্ড। যদিও বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে দারুণ লড়াই চালালেন সাউথগেটের ছেলেরা। সাকা, ডেকলান রাইস অনবদ্য খেলেছেন। ম্যাচের শেষদিকে রাশফোর্ডের ফ্রি কিক থেকে নেওয়া শট অল্পের জন্য তিনকাঠির বাইরে বেরিয়ে যায়।

কিলিয়ান এমবাপেকে আটকানোর পরিকল্পনা ইংল্যান্ডের সফল হয়েছে। তবে দুটি গোলের ক্ষেত্রেই অবদান রাখেন গ্রিজম্যান। জিরুর সঙ্গে তাঁর যুগলবন্দিই বিশ্বকাপ দখলে রাখার দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে দিল ফ্রান্সকে।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *