ব্যুরো রিপোর্ট: সপ্তাহ শুরুর দিনে ফের কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় আবহাওয়ায় আপেক্ষিক আর্দ্রতা বেশি। সেই কারণে বজায় রয়েছে অস্বস্তিও। সপ্তাহের শুরুর দিকে আপাতত বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস না থাকলেও বুধবার নাগাদ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গে।
অন্যদিকে উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।এদিন সকালে দেওয়া আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘন্টা অর্থাৎ ১৫ জুন বুধবার সকালের মধ্যে হিমালয়ের পাদদেশ সংলগ্ন পাঁচ জেলা দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি,
কালিম্পং, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। আগামী দিন দুয়ের দিনের তাপমাত্রার তেমন কোনও পরিবর্তন না হলেও, এর পরে তাপমাত্রা ২-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে যেতে পারে।
দক্ষিণবঙ্গে আপাতত ভারী বৃষ্টি না হলেও সবকটি জেলাতেই কোথাও না কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড় হতে পারে। ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৩০-৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। কোথাও কোথাও হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনার কথাও বলা হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে।
দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতেও আপাতত দিন দুয়েক দিনের তাপমাত্রার পরিবর্তনের কোনও সম্ভাবনা নেই।এর পরে তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস পেতে পারে।এদিন সকালে দেওয়া আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, কলকাতায় ফের আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তির আবহাওয়া। বিকেল কিংবা রাতের দিকে বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনা।
সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে যথাক্রমে ৩৫ ও ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। রবিবার এই তাপমাক্রা ছিল ২৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বোচ্চ ৮৮ %।
উত্তর প্রদেশ থেকে অসম পর্যন্ত পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে একটি অক্ষরেখা অবস্থান করছে। অন্যদিকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুরও সামান্য অগ্রগতি হয়েছে। আবহাওয়া বিশ্লেষকদের অনুমান আগামী
২৪ ঘন্টায় মৌসুমী বায়ু উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের বিস্তীর্ণ অংশে ছড়িয়ে পড়বে। অন্যদিকে আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু উত্তরবঙ্গের বাকি অংশ এবং ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড এবং গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করবে বলেই মনে করছেন আবহাওগায় বিশ্লেষকরা।
ব্র্যাকেটে আগের দিনের তাপমাত্রা
আসানসোল ২৮.৭ ( ২৭.৮)
বহরমপুর ২৫.৪ (২৫.৬)
বাঁকুড়া ২৭.৪ (২৬.৬)
বর্ধমান ২৬.৪ (২৫.৮)
কোচবিহার ২২.৪ (২৪)
দার্জিলিং ১৪.৮ (১৫.৫)
দিঘা ২৯.২ (২৮.৬)
কলকাতা ২৯.১ (২৭.৮)
দমদম ২৯ (২৭.৯ )
কৃষ্ণনগর ২৭.৮ (২৭.২)
মালদহ ২৭.১ (২৮.২)
মেদিনীপুর ২৮.৫ (২৭.৭ )
শিলিগুড়ি ২৩.৪ (২৪.৫)
শ্রীনিকেতন ২৮.২ (২৬.৪)