প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস, গভীর নিম্নচাপের কারণে দিঘা-মন্দারমনিতে প্রবল জলোচ্ছ্বাস

প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস, গভীর নিম্নচাপের কারণে দিঘা-মন্দারমনিতে প্রবল জলোচ্ছ্বাস

ব্যুরো রিপোর্ট:  আগেই ঘুর্নিঝড়ের তকমা হারিয়েছে জাওয়াদ। আর তা হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আর এই নিম্নচাপের কারনে ভারী থেকে অতি ভারীর বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাসের দেওয়া হয়েছে। কলকাতা সহ বাংলার একাধিক জেলাতে এই বৃষ্টিপাত চলবে।

এই মুহূর্তে পুরী থেকে কয়েকশ কিলোমিটার দূরে রয়েছে জাওয়াদ।তবে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসবে এই নিম্নচাপ তত বৃষ্টির পরিমান আরও বাড়বে বলে জানাচ্ছেন আলিপুর হাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদরা।

শনিবার সকাল থেকেই পরিস্থিতি বদল হতে শুরু করে। সেই অবস্থা বজায় থেকে রাতভর বৃষ্টি হয়েছে। কলকাতা সহ জেলার একাধিক জায়গাতে বৃষ্টি হয়েছে। রবিবার সকাল থেকেই পরিস্থিতি একি রয়েছে। কালো মেঘে ঢাকা আকাশ।

হালকা থেকে মাঝারি এই বৃষ্টি হয়ে চলেছে। তবে তেমনভাবে ভারী বৃষ্টি হয়নি। তবে বেলা বাড়তে বাড়তে পরিস্থিতি বদল হতে শুরু করবে। এমনটাই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে,

রবিবার ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া, কলকাতা এবং হুগলি জেলায়। আর ৬ ডিসেম্বর ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাশাপাশি নদিয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলাতেও।

এমনটাি জানানো হয়েছে। তবে কয়েকটি জেলাতে ৫০ থেকে ৬০ কিমি বেগে হাওয়া বইতে পারে বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদনিম্নচাপের কারনে সকাল থেকেই প্রবল জলোচ্ছ্বাস দিঘাতে।

যদিও এখনও গার্ডওয়াল টপকে জল আসেনি। তবে ব্যাপক জলোচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছে। সাধারণ মানুষকে সমুদ্রের আশেপাশে কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।

কড়া নিরাপত্তা লক্ষ্য করা যাচ্ছে সেখানে। কার্যত একই ছবি মন্দারমনিতেও। রবিবার পুরো এলাকা ফাঁকা। পুলিশের তরফে নজরদারি চালানো হচ্ছে। তবে একি ভাবে সয়াল থেকে দিঘা,

মন্দারমনি সহ গোটা জেলাতেই বৃষ্টি চলছে।সাইক্লোনের আশঙ্কায় কাঁপছিল বাংলা। কার্যত বরাত জোড়ে বাঁচল রাজ্য। সাগরেই দুর্বল হয়ে গিয়েছে জাওয়াদ।

ফলে বড় ল্যান্ডফলের আর কোনও আশঙ্কা নেই। যদিও পরিস্থিতির জন্যে তৈরি ছিল নবান্ন। সবরকম ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। এনডিআরএফ টিম মোতায়েন সহ কর্মীদের ছুটি বাতিল পর্যন্ত করা হয়েছে।

খোলা হয় কন্ট্রোলরুমও। জেলার সঙ্গে প্রতি মুহূর্তে যোগাযোগ রাখা হয়। উপকূল এলাকা থেকে দ্রুত মানুষকে নিরাপদে সরানোর কাজ করা হয়।

একগুচ্ছ পদক্ষেপ নেওয়া হয়। যদিও এখনও রাজ্যের তরফে পরিস্তিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। তবে ভারী ব্রিষ্টির পূর্বাভাস থাকায় এখনও সমস্ত ক্ষেত্রে অ্যালার্ট রাখা হয়েছে।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *