ব্যুরো রিপোর্ট: দেশের পূর্বের রাজ্যগুলিতে বৃষ্টিপাতের ঘাটতি রয়েছে। তার মধ্যে ঘাটতি রয়েছে বাংলা ও ওড়িশারও। গত দিন কয়েক ধরে ভারী বৃষ্টি দেখেনি দক্ষিণবঙ্গ কিংবা ওড়িশা। এবারের বর্ষায় ওড়িশা তেমন বড় বৃষ্টি পায়নি।
প্রকৃতপক্ষে ১ জুন থেকে ৩১ অগাস্টের মধ্যে ওড়িশায় বৃষ্টিপাতের ঘাটতি ১৪ শতাংশের আশপাশে।আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ৩ সেপ্টেম্বর নাগাদ উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে।
তার পরবর্তী ৪৮ ঘন্টায় এই ঘূর্ণাবর্ত থেকে নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। আবহাওয়া দফতরের তরফে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের কয়েকটি জেলার সঙ্গে ওড়িশায়ও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছে।আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে,
উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর ও হাওড়া জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। যার কিছু প্রভাব পড়বে কলকাতাতেও। তবে এর বাইরে আপাতত তেমন কোনও পূর্বাভাস দেয়নি সরকারি আবহাওয়া সংস্থা।
বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থা স্কাইমেটের তরফে পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে, উত্তর বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার পরে তা দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। এছাড়াও সিস্টেমটি আগামী ৭ ও ৮ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ আগামী বৃহস্পতি-শুক্রবার পর্যন্ত ওড়িশা উপকূলের কাছাকাছি ঘোরাফেরা করবে।
পূর্বাভাস অনুযায়ী প্রথমে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি শুরু হওয়ার পরে, তার তীব্রতা আরও বাড়বে। এক কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, সিস্টেমটি একই অঞ্চলের চারপাশে ঘুরতে থাকবে। যে কারণে ওড়িশার উত্তরদিকের থেকে দক্ষিণের অংশে বেশি বৃষ্টি হবে। এই বৃষ্টির পরেও ওড়িশায় পৃষ্টিপাতের ঘাটতি থাকবে বলে জানানো হয়েছে বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থার তরফে।