ভারতীয় ক্রিকেটে ট্র্যাজিক নেতা হিসেবেই রয়ে যাবেন সংখ্যাতত্ত্বের বিচারে সৌরভ-ধোনি-আজহার’কে পিছনে ফেলা কোহলি

ভারতীয় ক্রিকেটে ট্র্যাজিক নেতা হিসেবেই রয়ে যাবেন সংখ্যাতত্ত্বের বিচারে সৌরভ-ধোনি-আজহার’কে পিছনে ফেলা কোহলি

ব্যুরো রিপোর্ট:  বুধবার নাটকীয় ভাবে একদিনের ক্রিকেটে অধিনায়কের পদ থেকে নিস্তার দেওয়া হয়েছে বিরাট কোহলি’কে। তাঁর পরিবর্তে টিম ইন্ডিয়া’র দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে রোহিত শর্মার চওড়া কাঁধে। বোর্ডের অন্দরের খবর, বিরাট’কে সম্মানের সঙ্গে নেতৃত্ব ছাড়ার জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়েছিল বোর্ড,

কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও বিরাটের কোনও হেলদোল না দেখায় স্রেফ একটি টুইটে বিরাটের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয় নির্বাচক মণ্ডলী।মহেন্দ্র সিং ধোনি’র হাত থেকে অধিনায়কত্বের ব্যাটন পাওয়া কোহলি যোগ্যতার সঙ্গেই পূর্বসুরির দায়িত্ব পালন করে গিয়েছেন।

২০১৩ থেকে স্টপগ্যাপ অধিনায়ক হিসেবে বেশ কিছু ম্যাচে দায়িত্ব সামলালেও কোহলি পাকাপাকি ভাবে অধিনাকের দায়িত্ব পান ২০১৭ সালের জানুয়ারি’তে। শুধু দেশের মাটিতেই নয়, বিদেশেও বিরাটের নেতৃত্বে হোয়াইট বল ক্রিকেটে সাফল্য পেয়েছে ভারত।

মোট ৯৫টি ম্যাচে ভারত’কে নেতৃত্ব দিয়েছেন কোহলি যার মধ্যে ৬৫টি ম্যাচে জিতেছে ভারত। ২৭টি ম্যাচে হারের সম্মুখীন হতে হয়েছে। একটি ম্যাচ টাই হয় এবং দুই ম্যাচের কোনও ফলাফল বের হয়নি। পরিসংখ্যানের বিচারে দেশের সফলতম অধিনায়ক তিনিই।

তিনি জয় পেয়েছেন ৭০.৪৩ শতাংশ ম্যাচে। ছাপিয়ে গিয়েছেন দেশের অন্যতম দুই সফল অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি এবং সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়’কে। ২০০টি ম্যাচে অধিনায়ক হিসেবে ১১০ ম্যাচে জয় রয়েছে ধোনির এবং হার ৭৪টি ম্যাচে। শতাংশের বিচারে যা ৫৯.৫২।

অপর দিকে, মহারাজ দেশ’কে ১৪৬ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে ৭৬টি ম্যাচে জয় পেয়েছেন। তাঁর শতাংশের বিচারে সাফল্য ৫৩.৯০। তবে, সৌরভের সাফল্য’কে সংখ্যাতত্ত্ব দিয়ে বিচার করলে তার সঠিক বিশ্লেষণ হয় না।

ঢুকতে থাকা গড়াপেটার অভিযোগে বিদ্ধ দলকে বিশ্ব ক্রিকেটের শীর্ষে নিয়ে গিয়েছিলেন মহারাজ।-বিদেশ মিলিয়ে নিজের পূর্বসূরি’দের থেকে সাফল্যের হিসেব সংখ্যাতাত্বিক দিক থেকে এগিয়ে বিরাট। ১৯টি দ্বি-পাক্ষিক সিরিজের মধ্যে ১৫টি জিতেছেন তিনি।

কিন্তু এত কিছুর পরেও কোহলি ট্র্যাজিক অধিনায়ক হিসেবেই রয়েছে যাবেন ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসে। নিজের সময়ের সেরা ক্রিকেটারদের দলে পেয়েও আইসিসি-র প্রতিযোগীতায় বিরাটের সাফল্য শূন্য।

তাঁর অধিনায়কত্বে আইসিসি’র প্রতিযোগীতায় সেরা পারফরম্যান্স বলতে ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি’তে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হেরে রানার্স হওয়া। ২০১৯ বিশ্বকাপে তাঁর অধিনায়কত্বে সেমিফাইনালে পৌঁছেছিল ভারত।

পঞ্চাশ ওভারের ফর্ম্যাটে অধিনায়ক হিসেবে ৭২.৬৫ গড়ে ৫৪৪৯ রান এসেছে বিরাটের ব্যাট থেকে। পাশাপাশি রিকি পন্টিং-এর পর অধিনায়ক হিসে্বে ওডিআই ফর্ম্যাটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শতরান সংগ্রহকারী ব্যাটসম্যানও বিরাট। অধিনায়ক হিসেবে তিনি ২১টি শতরান করেছেন। এই তালিকায় শীর্ষে থাকা অজি কিংবদন্তি পন্টিং-এর শতরান সংখ্যা ২২।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *