ব্যুরো রিপোর্ট: সপ্তমবার ব্যালন ডি’অর খেতাব জিতলেন আর্জেন্তিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসি। রবার্ট লেভানডস্কি রানার-আর নির্বাচিত হয়েছেন। ২০০৯, ২০১০, ২০১১, ২০১২, ২০১৫, ২০১৯ সালের পর ফের সোনার বলে হাত রাখলেন লিও।
লেভানডস্কি গত বছর দুরন্ত ফর্মে থাকলেও করোনা পরিস্থিতির জেরে বাতিল হয়েছিল পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান। বার্সেলোনার স্প্যানিশ মহিলা মিডফিল্ডার আলেক্সিয়া পুতেলাস বর্ষসেরা মহিলা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন।
১৯৬০ সালের পর এই প্রথম স্পেনের কোনও ফুটবলার এই পুরস্কারটি পেলেন। উয়েফার বিচারে বর্ষসেরা পুতেলাস বার্সার হয়ে ২৬টি গোল করেছেন।প্যারিসে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা থেকে তারকাখচিত বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে মেসির হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
বার্সেলোনার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে মেসি এখন পিএসজিতে রয়েছেন, সেই প্যারিসেই লিওনেল মেসির মুকুটে যোগ হলো নতুন পালক। ব্যালন ডি’অর খেতাব জয়ের নিরিখে মেসি রোনাল্ডোকে আরও পিছনে ফেললেন। সবচেয়ে বড় কথা,
২০১০ সালের পর এই প্রথম ব্যালন ডি’অর পুরস্কারের দৌড়ে প্রথম তিনেই থাকতে পারলেন না বর্তমানে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে থাকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো।এপ্রিলে বার্সেলোনার কোপা দেল রে জয়ের পিছনে ছিল মেসির অবদান।
এরপর লিওনেল মেসির অধিনায়কত্বে আর্জেন্তিনা কোপা আমেরিকা খেতাব জেতে। মেসিই হন টুর্নামেন্টের সেরা ফুটবলার। আর্থিক কারণে মেসিকে বার্সা ধরে রাখতে না পারায় কেরিয়ারে এই প্রথম ক্লাব ছাড়তে হয় মেসিকে, প্যারিসে পিএসজিতে যোগ দেন।
পিএসজির হয়ে ১১টি ম্যাচে মেসি ৪টি গোল করেছেন, শেষ ম্যাচেও তিনটি অ্যাসিস্ট করেছেন।৩৩ বছরের লেভানডস্কি বায়ার্ন মিউনিখে দুরন্ত ফর্মে থাকলেও এ বছর তাঁকে রানার-আপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে।
চলতি মরশুমে বায়ারনের হয়ে ২০টি ম্যাচে তিনি ২৫টি গোল করেছেন। মেসি, লেভানডস্কিদের সঙ্গে দৌড়ে ছিলেন চেলসির মিডফিল্ডার জর্জিনহো। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেতাব জয় থেকে ইউরো-জয়ী ইতালি দলের সদস্য হয়েও তিনি ব্রোঞ্জ পদকই জিতেছেন।
রিয়াল মাদ্রিদ বা ফ্রান্সের হয়ে ভালো খেললেও প্রথম তিনে আসতে পারেননি করিম বেঞ্জেমা। ব্যালন ডি’ওরের প্রথম ৩০ ফুটবলারের মধ্যে তিনি রইলেন চতুর্থ স্থানে। প্রথম পাঁচে আর যিনি ঠাঁই পেয়েছেন তিনি হলেন এনগোলো কন্তে।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো রইলেন ষষ্ঠ স্থানে। মো সালাহ সপ্তম, কেভিন ডি ব্রুইন অষ্টম, কিলিয়ান এমবাপে নবম ও জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা দশম স্থান পেয়েছেন। একাদশ স্থানে রয়েছেন আর্লিং হালান্ড, দ্বাদশ স্থানে রোমেলু লুকাকু,
ত্রয়োদশ স্থানে জর্জিও চিয়েলিনি, চতুর্দশ স্থানে লিওনার্দো বোনুচ্চি, ১৫ নম্বরে রাহিম স্টার্লিং, ১৬ নম্বরে নেইমার, সপ্তদশ স্থানে রয়েছেন লুই সুয়ারেজ। ১৮ নম্বরে রইলেন সাইমন জায়ের, ১৯ নম্বরে ম্যাসন মাউন্ট, ২০ নম্বরে রয়েছেন রিয়াদ মাহরেজ।
যুগ্মভাবে ২১ নম্বরে রয়েছেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ ও লৌতারো মার্তিনেজ। ২৩ নম্বরে হ্যারি কেন, ২৪ নম্বরে পেদ্রি, যুগ্মভাবে ২৬-এ রয়েছেন ফিল ফডেন, নিকোলো বারেল্লা ও রুবেন দিয়াজ। যুগ্মভাবে ২৯ নম্বরে লুকা মদ্রিচের সঙ্গে রইলেন সিজার আজপিলিকুয়েতা।