দুই প্রাপ্ত বয়স্কের বিবাহ-বন্ধন! প্রয়োজন নেই পরিবার-সহ অন্য কারও সম্মতির, রায় আদালতের

দুই প্রাপ্ত বয়স্কের বিবাহ-বন্ধন! প্রয়োজন নেই পরিবার-সহ অন্য কারও সম্মতির, রায় আদালতের

ব্যুরো রিপোর্ট:  দুই প্রাপ্ত বয়স্ক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে, এই দুজনের সম্মতিই বিবেচনা করা প্রয়োজন, অন্য কারও নয়। এমনটাই পর্যবেক্ষণ জম্মু-কাশ্মীর-লাদাখ হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি এমএ চৌধুরীর।

বিচারপতি এমএ চৌধুরী রায় দিতে গিয়ে বলেছেন, দুজন প্রাপ্ত বয়স্ক যদি উভয়ের সম্মতিতে একে অপরকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নেয়, তাহলে তা তাদের পছন্দের প্রকাশ। ভারতের সংবিধানের ১৯ ও ২১ নম্বর অনুচ্ছেদে রয়েছে।

ফলে এই ধরনের অধিকারেরর সাংবিধানিক অনুমোদন রয়েছে। বিষয়টি কোনও শ্রেণি কিংবা গোষ্ঠীর ধারণার কাছে নত হতে পারে না। স্পষ্ট করে বলতে গেলে দুজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি বিবাহ বন্ধনে সম্মত হলে পরিবার বা সম্প্রদায়ের সম্মতির প্রয়োজন হয় না।

আদালত ১৭ জুন দেওয়া আদেশে বলেছে এক ব্যক্তির অধিকারকে রক্ষা করা সাংবিধানিক বাধ্যমাধকতা। যা তাঁর মর্যাদাপূর্ণ অস্তিত্বের সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত। বিচারপতি বলেছেন, যদি নিজের পছন্দের অধিকার বাধা পায়, তাহলে এর পবিত্র মর্যাদার কথা চিন্তা করা অত্যন্ত কঠিন হবে।

তিনি বলেন জীবনসঙ্গী নির্বাচনের অধিকার বাধাপ্রাপ্ত হলে সংবিধান লঙ্ঘিত হবে।প্রসঙ্গত উল্লেখ করা প্রয়োজন একটি ছেলে ও একটি মেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে। তারা মুসলিম রীতি অনুযায়ী বিয়ে করেছিল পরিবারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে।

সেই কারণে পরিবারের সদস্যরা তাঁদের শারীরিক ক্ষতি করতে পারে এই আশঙ্কায় আদালতে সুরক্ষার জন্য আবেদন করেছিল।আদালতের তরফ থেকে দম্পতিকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা এবং আইন অনুযায়ী কাজ করার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছ।

পাশাপাশি ছেলে ও মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক কিনা এবং প্রচলিত আইন অনুযায়ী বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে কিনা তা পরীক্ষার জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।যদি কোনও আবেদনকারীর বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর

থাকে, তবে পুলিশকে নিয়ম মেনে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আবেদনকারীর পক্ষে আদালতে সওয়াল করেন অ্যাডভোকেট নাদিম গুল এবং রাজ্যের তরফে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইনশা রশিদ।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *