মিশো অ্যাপ এখন বাংলাতেও

মিশো অ্যাপ এখন বাংলাতেও

রিপোর্ট- দেবাঞ্জন দাস: ভারতের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ইন্টারনেট কমার্স কোম্পানি মিশো প্রত্যেকের জন্য ইন্টারনেট বাণিজ্যকে উপলব্ধ করার লক্ষ্যে তার প্ল্যাটফর্মে আটটি নতুন আঞ্চলিক ভাষা যোগ করার কথা ঘোষণা করেছে।

উৎসব মরসুমের ঠিক আগে, যখন দেশের প্রতিটি কোণ থেকে লক্ষ লক্ষ ব্যবহারকারী এই প্ল্যাটফর্মে লেনদেন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে, এই পদক্ষেপটি ঠিক তখনই নেওয়া হল। এই আটটি নতুন আঞ্চলিক ভাষা হল বাংলা, তেলগু, মরাঠি, তামিল,

গুজরাতি, কন্নড়, মালায়লাম এবং ওড়িয়া। মিশো র গ্রাহকরা এখন অ্যাকাউন্ট এবং পণ্যের তথ্য অ্যাক্সেস, পণ্যের অর্ডার দেওয়া এবং তার ট্র্যাকিং এবং অ্যান্ড্রয়েড ফোনে টাকা দেওয়ার জন্য তাদের পছন্দের ভাষা নির্বাচন করতে পারবেন।

গত বছর, মিশো প্ল্যাটফর্মে একটি ভাষার বিকল্প হিসাবে হিন্দি চালু করেছিল, যা এখন পর্যন্ত ২০% গ্রহণের উচ্চ হার দেখেছে। মিশো গ্রাহকদের বেশিরভাগই আহমেদাবাদ, ভাদোদরা এবং জামশেদপুরের মতো টায়ার ২+ শহর এবং অ-হিন্দিভাষী রাজ্যের বাসিন্দা,

যেখানে ইংরেজি বা হিন্দি সবসময় পছন্দের ভাষা না-ও হতে পারে। এই সর্বশেষ উদ্যোগটি ওই অঞ্চলগুলিতে মিশো এর গ্রহণযোগ্যতাকে আরও বাড়িয়ে তুলবে এবং লক্ষ লক্ষ গ্রাহকের জন্য অনলাইন কেনাকাটার অভিজ্ঞতা আরও সহজ করে তুলবে।

এই নতুন ভাষায় সঠিক এবং খাঁটি অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করার জন্য, মিশো তার ব্যবহারকারীদের নিয়ে করা সমীক্ষা থেকে প্রাপ্ত মূল অন্তর্দৃষ্টি এবং বিশেষজ্ঞ ভাষাবিদদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করেছেন।

দৈনন্দিনের প্রচলিত ভাষাকে প্রতিফলিত করতে এবং কেনাকাটার অভিজ্ঞতাকে নির্বিঘ্ন, সহজ করে তুলতে মিশোর দলটি সম্পূর্ণ প্রায় নিখুঁত অনুবাদের জন্য অধিক ব্যবহৃত শব্দগুলি বেছে নিয়েছে।

যেমন- হিন্দিতে ‘প্রয়োজনীয়’ শব্দের আক্ষরিক অনুবাদ হল ‘অনিবার্য’ কিন্তু ‘জরুরি’ শব্দটি এ ক্ষেত্রে বেশি উপযুক্ত। মোট, প্রায় ৩৩,০০০ ইংরেজি শব্দ এই আটটি ভাষার প্রতিটিতে অনুবাদ করা হয়েছে।

মিশোর প্রতিষ্ঠাতা এবং সিটিও, সঞ্জীব বার্নওয়াল বলেছেন, “এটি লক্ষ করা গুরুত্বপূর্ণ যে আমাদের ব্যবহারকারীদের ৫০% ই-কমার্সে নতুন এবং সম্ভবত এর আগে কখনওই এই ধরনের প্ল্যাটফর্মে লেনদেন করেননি।

প্ল্যাটফর্মে আঞ্চলিক ভাষা চালু করার মাধ্যমে, মিশোর লক্ষ্য ভাষাগত বাধা দূর করা। ভারতের পরবর্তী লক্ষাধিক ব্যবহারকারীদের জন্য একক কেনাকাটার গন্তব্য হয়ে ওঠার আমাদের যাত্রায় এটি একটি স্বাভাবিক, জরুরি পদক্ষেপ।

প্ল্যাটফর্মটি এই ৮টি স্থানীয় ভাষায় ১০০% নির্ভুল এবং প্রাসঙ্গিক তা নিশ্চিত করতে আমাদের দলগুলি নেপথ্যে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে।”

সম্প্রতি, ১০ কোটি লেনদেনকারী ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছানোর জন্য মিশো ভারতের সবচেয়ে দ্রুততম ই-কমার্স কোম্পানি হয়ে উঠেছে। মার্চ, ২০২১ থেকে, এই প্ল্যাটফর্মে লেনদেনকারী

ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫.৫ গুণ বেড়ে গিয়েছে, যেখানে একই সময়ের মধ্যে নানা ধরনের জিনিসের সংগ্রহ ৯ গুণ বেড়ে ৭.২ কোটি হয়েছে। টায়ার ২+ বাজারের গ্রাহকরা এই বৃদ্ধির মূল চালক,যা মিশোর সমস্ত ক্রেতার ৮০% ভাগিদার।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *