শিশুদের জন্য জাতীয় তহবিল

শিশুদের জন্য জাতীয় তহবিল

রিপোর্ট -দেবাঞ্জন দাস: শিশুদের জন্য জাতীয় তহবিল ১৯৭৯ সালের ২ মার্চ ১ লক্ষ টাকা দিয়ে শুরু হয়। পরবর্তীতে জনসাধারণের অর্থানুকূল্যে এই তহবিলের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষ পর্যন্ত ২৯৪টি প্রকল্পে এই তহবিল থেকে মোট ৮ কোটি ১ লক্ষ ৪০ হাজার ৩৪১ হাজার টাকা অর্থ সাহায্য দেওয়া হয়েছে।

এই সময় পর্যন্ত ৯৭২ জন শিশুকে মোট ৮৫ লক্ষ ৪৫ হাজার ৫০০ টাকা বৃত্তি হিসাবে দেওয়া হয়েছে। এই বৃত্তি চাইল্ড কেয়ার ইন্সটিটিউশনগুলিতে থাকা শিশুদের দেওয়া হয়। নবম ও দশম শ্রেণীর পঠনরত শিশুদের জন্য ৭০০ টাকা প্রতি মাসে দেওয়া হয়। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর ছেলেমেয়েরা ৮০০ টাকা প্রতি মাসে বৃত্তি হিসাবে পেয়ে থাকে।

২০২১-২২ অর্থবর্ষ থেকে শিশুদের জন্য নির্ধারিত এই তহবিল থেকে পশ্চিমবঙ্গে ১৪ জন, ত্রিপুরার ৯ জন এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ২৫ জন সহ মোট ৪০০ জন শিশুকে বৃত্তি দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলার পিছিয়ে পড়া নকশাল বাড়ি এবং

খড়িবাড়ি ব্লকে যেসব কন্যা শিশুর জন্য বিশেষ সাহায্যের প্রয়োজন, তাদের ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ৪ লক্ষ ৯৯ হাজার ৫০০ টাকা প্রকল্প বাবদ বরাদ্দ হয়েছে। এই প্রকল্পে ১০০ জন শিশু উপকৃত হবে। তামিলনাডুর সব থেকে বেশি শিশু এই প্রকল্পের সুফল লাভ করেছে।

শিশুদের জাতীয় তহবিলের মূল উদ্দেশ্য হ’ল – ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, কর্পোরেট সংস্থা সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে তহবিল সংগ্রহ করা। এই অর্থ প্রাকৃতিক বিপর্যয়, দারিদ্র্য সহ বিভিন্ন জটিল পরিস্থিতিতে যেসব

শিশু নানাবিধ সমস্যায় রয়েছে, তাদের জন্য ব্যয় করা হয়। মূলত, আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চল ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে রাজ্য সরকারগুলি এই কাজ করে থাকে। এছাড়াও, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনেরও সাহায্য নেওয়া হয়।

লোকসভায় এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে এই তথ্য জানিয়েছেন নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শ্রীমতী স্মৃতি জুবিন ইরানী।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *