নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা, নামছে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা! বাংলার বিভিন্ন জেলার আবহাওয়ার পূর্বাভাস

নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা, নামছে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা! বাংলার বিভিন্ন জেলার আবহাওয়ার পূর্বাভাস

ব্যুরো রিপোর্ট:  রাজ্যে শীতের আবহাওয়ার পথে আপাতত আর কোনও বাধা নেই। উত্তরে হাওয়ার পথ খোলা। উত্তর পশ্চিম ভারতে নতুন করে পশ্চিম ঝঞ্ঝা তৈরি হচ্ছে। তবে বাংলায় আপাতত শীতের মতো শীত পড়ার সম্ভাবনা নেই।

তবে শুষ্ক আবহাওয়া বজায় থাকবে বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে।এদিন সকালে আবহাওয়া দফতরের তরফে বলা হয়েছে, পরবর্তী ৪৮ ঘন্টা অর্থাৎ ৩ নভেম্বর বুধবার সকালের মধ্যে উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে।

কোথাও বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। কোনও কোনও জায়গায় কুয়াশা থাকলেও রাতের তাপমাত্রার সেরকম কোনও পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।এদিন সকালে দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ৪৮ ঘন্টায় দক্ষিণবঙ্গের সব জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে।

কোথাও বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাসে নেই। ভোর ও সন্ধের দিকে শীতের আমেজ বজায় থাকবে। তবে রাতের তাপমাত্রার সেরকম কোনও পরিবর্তন হবে। পশ্চিমের জেলাগুলির তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকার সম্ভাবনা।

কলকাতা ও আশপাশের এলাকার আগামী ২৪ ঘন্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ পরিষ্কার থাকবে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩১ ও ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে।

আসানসোল ১৯.১
বালুরঘাট ২০.২
বাঁকুড়া ১৮.৮
ব্যারাকপুর ২০.৬
বহরমপুর ২২
বর্ধমান ২০
ক্যানিং ২১.৬
কোচবিহার ১৬.১
দার্জিলিং ৮.৪
দিঘা ২১.১
কলকাতা ২০.৬
মালদহ ২১.৭
পানাগড় ১৮.৯
পুরুলিয়া ২০.১
শিলিগুড়ি ১৭.৪
শ্রীনিকেতন ১৭.৪

তামিলনাড়ু উপকূলের কাছে নিম্নচাপ এবং সঙ্গে থাকা ঘূর্ণাবর্তের কারণে আগামী কয়েকদিন বিচ্ছিন্নভাবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, কেরল, কাড়াইকাল, দক্ষিণ উপকূলবর্তী কর্নাটক, উপকূল অন্ধ্রপ্রদেশে।

নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা আছড়ে পড়তে চলেছে উত্তর পশ্চিম ভারতে। উত্তর পাকিস্তান এবং সংলগ্ন এলাকার ওপরে একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। যার জেরে জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ, গিলগিট-বালতিস্তান, মুজফফরাবাদ, হিমাচল প্রদেশ, পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ডে বিচ্ছিন্নভাবে হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে।

এছাড়া দেশের বাকি অংশের আবহাওয়া শুকনো থাকবে।এবার অক্টোবরে যে বৃষ্টি সারা দেশে দেখা গিয়েছে, তার সাধারণভাবে এর আগে দেখা যায়নি। অন্যদিকে যে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা সাধারণভাবে ডিসেম্বর, জানুয়ারিতে দেখা যায়, তা উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম ভারতে এবার আগেই দেখা গিয়েছে।

আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, হাওয়ার পরিবর্তনের কারণে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও পতনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা আপাতত স্বাভাবিক জায়গাতেই থাকবে। তবে অক্টোবরে ভারী বৃষ্টির প্রভাব এবার শীতেও পড়তে চলেছে। অন্যবারের থেকে আগেই শীত পড়ার সম্ভাবনা এবং তুলনামূলক বেশি শীত পড়তে পারে এবছরে, অনুমান আবহাওয়াবিদদের।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *