করোনা সংক্রমণ এক লাফে বাড়ল প্রায় ২৫ শতাংশ, তবে কি করোনার চতুর্থ ঢেউ আসন্ন

করোনা সংক্রমণ এক লাফে বাড়ল প্রায় ২৫ শতাংশ, তবে কি করোনার চতুর্থ ঢেউ আসন্ন

ব্যুরো রিপোর্ট:  তবে কি করোনার চতুর্থ ঢেউ আসন্ন! তৃতীয় ঢেউ চলে যাওয়ার পর ফের দৈনিক করোনা সংক্রমণের বাড়বৃদ্ধিতে উঠে গিয়েছে সেই প্রশ্ন। যদিও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক খারিজ করে দিয়েছে, সেই শঙ্কার কথা। তবে করোনা ফের বাড়ায় চিন্তিত প্রশাসন।

যেভাবেই হোক বুস্টার ডোজ বাড়াতে চাইছে ভারত। কারণ বুধবার এক লাফে করোনা বেড়েছে ২৫ শতাংশ।বিগত ২৪ ঘন্টায় ৩২০৫ জন করোনা সংক্রমণ বেড়েছে। আগের দিন করোনা সংক্রমণ ছিল ২৬৬৪।

ভারতে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। সক্রিয়ের সংখ্যা ফের বেড়ে ২০ হাজার ছুঁই ছুঁই। ভারতে গত ২৪ ঘন্টায় করোনা সংক্রমণের কারণে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী দেশে গত ২৪ ঘন্টায় মোট ২৮০২ জন করোনা মুক্ত হয়েছে। করোনামুক্তির থেকে দেশে করোনার দৈনিক সংক্রমণ বেশি।

করোনা থেকে মোট পুনরুদ্ধারের হার বর্তমানে ৯৮.৭৪ শতাংশ। মোট পুনরুদ্ধারের সংখ্যা ৪ কোটি ২৫ লক্ষ ৪৪ হাজার ৬৮৯।কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ভারতে করোনার মোট সক্রিয় কেস ১৯,৫০৯-এ পৌঁছেছে।

গতকালই সক্রিয়ের সংখ্যা ১৯০০-র উপরে উঠে গিয়েছিল। দেশে মোট মৃতের সংখ্যা এখন ৫,২৩,৯২০। ভারতে কোভিড মহামারীজনিত কারণে প্রথম মৃত্যু হয়েছিল ২০২০ সালের মার্চ মাসে। সেই ধারা এখনও অব্যাহত। এদিন দৈনিক সংক্রমণের হার বাড়ল ২৪.৮ শতাংশ।

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ বা আইসিএমআরের রিপোর্ট অনুসারে, দেশে করোনা সংক্রমণ পের ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। তা যথেষ্ট চিন্তার কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে। এদিকে, ভারতের ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল বা ডিসিজিআই সম্প্রতি বিভিন্ন বয়সের শিশুদের জন্য তিনটি কোভিড ভ্যাকসিন অনুমোদন করেছে।

কিন্তু ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রবণতা কমেছে দেশে। বুস্টার ডোজ নেওয়ার আগ্রহও কমেছে।ডিসিজিআই ৬ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের জন্য ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনকে সীমাবদ্ধ জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে।

আরেকটি উন্নয়নে, ওষুধ নিয়ন্ত্রক জৈবিক ই-এর কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কোর্বাভ্যাক্সের জরুরি পরিস্থিতিতে ৫ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের জন্য সীমাবদ্ধ ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে।বিশেষজ্ঞ কমিটি ২ থেকে ১২ বছর বয়সি শিশুদের মধ্যে কোভ্যাক্সিনের জরুরি ব্যবহারের জন্য সুপারিশগুলি নিয়ে আলোচনা করার পরে এই ঘোষণা করে।

বৈঠকের পরে ৫ থেকে ১২ বছর বয়সি শিশুদের মধ্যে জৈবিক ই-এর কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কোর্বাভ্যাক্সের জরুরি ব্যবহার নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়। প্রায় এক পক্ষকাল ধরে ফের করোনার বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়েছে। দৈনিক সংক্রমণ বাড়ছে, বাড়ছে সক্রিয়ের সংখ্যাও।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *