ব্যুরো রিপোর্ট: আবহাওয়া দফতর সোমবার, ৬ অক্টোবর শুক্রবার পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন অংশে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। ঝাড়খণ্ড ও উত্তর ওড়িশার কিছু অংশে অক্টোবর পর্যন্ত বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। বিহারের কিছু অংশ, পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত একইরকমের আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
৪-৬ অক্টোবর আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব উত্তর প্রদেশ ও উত্তর ছত্তিশগড়ের অংশে ৩ অক্টোবর একই আবহাওয়া থাকতে পারে। ৫ অক্টোবর পর্যন্ত অসম, মেঘালয় একই অবহাওয়া থাকতে পারে। নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম ও ত্রিপুরার কিছু অংশে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
৪ ও ৫ অক্টোবর অরুণাচল প্রদেশে একই আবহাওয়া থাকতে চলেছে।এছাড়াও, ৪-৬ অক্টোবর আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের বিচ্ছিন্ন অংশে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, অসম, অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম ও ত্রিপুরার বিচ্ছিন্ন অংশগুলিতে ৪ অক্টোবর ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
৫ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম, বিহার, অরুণাচল প্রদেশ, অসম ও মেঘালয়ের বিভিন্ন জায়গায় একইরকমের আবহাওয়া থাকতে পারে।আবহাওয়া দফতরের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এল নিনোর প্রভাবের কারণে মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে এবছরে বৃষ্টিপাত, গত পাঁচ বছরের মধ্যে সব থেকে কম হয়েছে।
এই বছরের অগাস্ট মাস ছিল গত ১০০ বছরের মধ্যে সব থেকে শুষ্ক। জুন থেকে সেপ্টেম্বরে সারা ভারতে বৃষ্টিপাতের গড় ছিল ৯৪ শতাংশ, যা ২০১৮ সালের পরে সর্বনিম্ন।এবছরে বর্ষা অসম হয়েছে। জুনে বৃষ্টিপাত শুরুতে দেরি হওয়ায় গড় থেকে ৯ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। জুলাই মাসে গড়ের থেকে ১৩ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে।
অগাস্টে বৃষ্টিপাতের ঘাটতি ছিল ৩৬ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে দেশে স্বাভাবিকের থেকে ১৩ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে এল নিনোর প্রভাবের কারণে এবছরে বৃষ্টিপাতে ৪ শতাংশ ঘাটতি হতে পারে।আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হবে। এছাড়াও অক্টোবর মাসে দেশের বেশিরভাগ জায়গায় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বেশি থাকতে পারে।