ব্যুরো রিপোর্ট: শালিমার স্টেশন থেকেও এবার ছাড়বে লোকাল ট্রেন! গত কয়েকদিন মাস ধরেই শালিমার স্টেশনকে একেবারে ঢেলে সাজানোর কাজ চালাচ্ছে রেল। বিশেষ করে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের প্রান্তিক স্টেশন হিসাবে গড়ে তোলা হচ্ছে এই স্টেশনটিকে। ইতিমধ্যে শালিমার স্টেশন থেকে একাধিক ট্রেন ছাড়ে।
স্টেশনের মান উন্নত হলে দক্ষিণ ভারত ও মুম্বইয়ের দিকে যায় এমন একাধিক দুরপাল্লার ট্রেন শালিমার স্টেশন থেকে ছাড়বে। দূরপাল্লার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি লোকাল ট্রেনও শালিমার স্টেশন থেকে ছাড়া হবে। এমনটাই জানা গিয়েছে। মূলত হাওড়া স্টেশনের উপর চাপ কমাতে চাইছে রেল।
আর সেই কারনেই শালিমার স্টেশন থেকেও লোকাল ট্রেন চালানোর ভাবনা ভারতীয় রেলের। এই বিষয়ে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জিএম অনিলকুমার মিশ্র জানিয়েছেন, শালিমার স্টেশনের মান উন্নয়নের কাজ চলছে। আর পুরোদমে স্টেশন চালু হয়ে গেলে লোকাল ট্রেনও চালানোর চিন্তাভাবনা রয়েছে বলে জানান রেলের আধিকারিক।
শালিমার এবং সাঁতরাগছি স্টেশনকে একেবারে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। গত কয়েক বছর ধরেই কাজ চলছে। তবে মাঝখানে সংস্কারের কাজে বেশ কিছুটা ভাটা পড়ে। যদিও আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়েই এই দুই স্টেশনে কাজ শেষ হবে বলে মনে করছেন রেল আধিকারিকরা।
স্টেশনগুলির সংস্কারের পাশাপাশি পরিকাঠামোর উন্নত করা হবে। বিশেষ করে শালিমার স্টেশনে অতিরিক্ত রেল লাইন এবং প্লাটফর্ম তৈরি করা হবে। একই ভাবে দু’টি প্ল্যাটফর্ম আরও তৈরি হবে সাঁতরাগাছিতেও।
এছাড়াও ওভারব্রিজ সহ একধিক মান উন্নয়নের কাজ দুটি স্টেশনে করা হবে বলে জানিয়েছেন জিএম অনিলকুমার মিশ্র।এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের জুন মাসের মধ্যে শালিমার স্টেশনের কাজ শেষ হবে।
একই ভাবে মার্চ মাসের মধ্যে সাঁতরাগাছি স্টেশনের সংস্থার এবং পরিকাঠামোর কাজ শেষ হবে বলেও জানিয়েছেন রেলের আধিকারিকরা। তাঁর কথায়, রেলের তরফে শালিমার স্টেশনকে বিকল্প হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আর তা তৈরি হয়ে গেলে হাওড়া স্টেশনের উপর চাপ অনেকটাই কমবে বলে দাবি অনিলকুমার মিশ্রের। তবে শালিমার স্টেশনে যাতায়াত নিয়ে একটা বড় অভিযোগ যাত্রীদের মধ্যে রয়েছে।
এই বিষয়ে ওই রেল আধিকারিক জানিয়েছেন, এই বিষয়ে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। সড়কপথের পাশাপাশি জলপথেও মানুষ এই স্টেশনে পৌঁছতে পারেন সে লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে বলে ওই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন আধিকারিক।