ব্যুরো রিপোর্ট: ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দেশের অন্যতম তথ্যপ্রযুক্তি নগরী বেঙ্গালুরু। সাত সকালে এক কম্পনে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রীতিমত বহুতল থেকে আতঙ্কে বহু মানুষ নীচে নেমে আসে। রীতিমত সাধারন মানুষের মধ্যে হুড়োহুড়ি তৈরি হয়ে যায়। জানা যাচ্ছে, রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৩.৩।
এমনটাই জানা যাচ্ছে।তবে গুরুত্বপূর্ণ হল, বুধবার সকালে পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে দু’দুবার কম্পন অনুভুত হয় সে রাজ্যে। ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে আরও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
এমনকি হতাহতেরও কোনও খবর পাওয়া যায়নি।ঘটনার পরেই বিস্তারিত জানিয়ে টুইট করে । তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সকাল সাতটা ১৪ নাগাদ এই কম্পন অনুভুত হয়। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৩.৩।
ভুকম্পনের কেন্দ্র বেঙ্গালুরু থেকে ৬৬ কিলোমিটার উত্তর এবং উত্তরপূর্বে রয়েছে। ভুপৃষ্ট থেকে এর গভীরতা মাত্র ২৩ কিলোমিটার। যদিও এর আগে আরও একটি কম্পন অনুভুত হয়। সকাল ৭টা বেজে ৯-তে এই ঝটকা লাগে। কম্পনের মাত্রা ছিল 3.1।
কয়েক মিনিটের ব্যবধানে দুবার কম্পন অনুভুত হওয়ার ঘটনায় তীব্র আতঙ্কের মধ্যে সাধারণ মানুষ। যদিও প্রশাসনের তরফে আশ্বস্ত করা হয়েছে। নতুন করে আতঙ্কের কিছু নেই বলেই প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।
এই ঘটনা নতুন নয়, এর আগেও অক্টোবর মাসে কর্নাটকের কলবর্গী এবং বীদর জেলার মানুষ একাধিকবার কম্পন অনুভুত করেছিল। বীদর জেলার বাসবকল্যাণ গ্রাম এবং কূলবর্গীর চিচোল গ্রামের মানুষ এই তথ্য দিয়েছেন।
তাঁদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ১ অক্টোবর থেকে ১২ অক্টোবর থেকে একাধিক বার এই কম্পন অনুভত হয়েছে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ২ এর কিছুটা বেশি। এই ঘটনায় স্থানীয় মানুষজনের মধ্যে এতটাই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল যে মানুষ দিনের পর দিন রাত ঘরের বাইরে কাটিয়েছে।
এমনটাই দাবি পুলিশ প্রশাসনের। আর এই ঘটনার মধ্যেই ফের কম্পন অনুভুত হল সে রাজ্যে। বড়সড় বিপদের শঙ্কা কি বাড়ছে সে রাজ্যে?উল্লেখ্য কর্নাটকে লাগাতার ভুমিকম্প কেন? এই বিষয়ে কারন খুঁজতে সম্প্রতি ভূবিজ্ঞানীদের নিয়ে একটি বৈঠকও করা হয়েছে।
বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আধিকারিকরা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সেই বৈঠকে একাধিক বিষয় উঠে আসে। একই সঙ্গে কম্পন নিয়ে সতর্কও করেন ভূবিজ্ঞানীরা।