বৃষ্টির ঘাটতি বেড়ে ৪৬ শতংশ, সপ্তাহান্তে কেমন থাকবে আবহাওয়া জেনে নিন

বৃষ্টির ঘাটতি বেড়ে ৪৬ শতংশ, সপ্তাহান্তে কেমন থাকবে আবহাওয়া জেনে নিন

ব্যুরো রিপোর্ট:  বর্ষা এসেও মিটছে না ঘাটতি। জুনের ৪০ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি জুলাই মাসে বেড়ে ৪৬ শতাংশ হয়ে গিয়েছে। তারপরেই খুব একটা আশার খবর শোনাতে পারছে না হাওয়া অফিস।সপ্তাহান্তে দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে কয়েকটি জেলায় বৃষ্টি বাড়বে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

বর্ষার তেমন দেখা পাওয়া যাচ্ছে না দক্ষিণবঙ্গে। গতকাল ১৫ মিনিট বৃষ্টি হয়েছে শহরে। কিন্তু তাতে অস্বস্তিকর গরম থেকে রেহাই মেলেনি উল্টে অস্বস্তি বেড়েছে। গরমে নাজেহাল অবস্থা শহরবাসীর। আবহাওয়া দফতরও খুব একটা সুখবর শোনাতে পারেিন। শুক্রবার শহরের তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকবে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি।বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বাধিক ৯২ শতাংশ রয়েছে সেকারণই অস্বস্তিকর গরম বজায় রয়েছে।সপ্তাহান্তে বাড়বে বৃষ্টি। তবে তেমন ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই।

দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, হুগলি, দুই মেদিনীপুরে শুক্রবার বিকেল থেকে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে তেমন বর্ষার সম্ভাবনা নেই। জুন মাস থেকে বৃষ্টির ঘাটতি রয়েই যাচ্ছে দক্ষিণবঙ্গে।

জুলাই মাসেও সেই ঘাটতি পূরণ হবার নয়। এমনই আশঙ্কার কথা শোনাচ্ছে হাওয়া অফিস।দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুিলতে বর্ষার দাক্ষিণ্য তেমন জোটেনি। জুন মাসে ৪০ শতাংশ ছিল বৃষ্টির ঘাটতি। মনে করা হচ্ছিল জুলাই মােস সেই ঘাটতি অনেকটাই কমে যাবে। কিন্তু তা হয়নি। উল্টে বর্ষার আকাল দেখা দিয়েছে।

তার জেরে জুলাই মাসে বৃষ্টির ঘাটতি বেড়ে ৪৬ শতাংশ হয়ে গিয়েছে। মাস শেষ হওয়ার পথে। শেষ সপ্তাহেও তেমন বৃষ্টির আশা দেখাতে পারেনি হাওয়া অফিস। যে বৃষ্টি হবে তাতে বর্ষার বৃষ্টির ঘাটতি মিটবে না। এতে বিপুল ক্ষতির মুখে পড়ছেন চাষিরা।উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। কয়েকদিন আগে হঠাৎ করে উত্তরবঙ্গের তাপমাত্রা বেড়ে গিয়েছিল। যাকে বলে প্রবল গরম দেখা গিয়েছিল। গরমে এক কলেজ ছাত্রী মারাও যায়। তারপরেই অবস্থা আবার বর্ষার বর্ষণ শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু উত্তরবঙ্গেও সার্বিক ভাবে ৪ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *