ব্যুরো রিপোর্ট: এই সপ্তাহের শুরুতে দৈনিক কোভিড -১৯ কেসগুলিতে রেকর্ড মাত্রায় পৌঁছেছিল কয়েকটি দেশে, দক্ষিণ কোরিয়াতে তা এখন বেশ কিছুটা হ্রাস পাচ্ছে। একইভাবে, শনিবার এক বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে প্রথম কোভিড মৃত্যুর রেকর্ড করার পরে চিনে রবিবার নতুনভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কম হয়েছে।
যদিও বর্তমানে কোভিড -১৯ প্রাদুর্ভাবের সাক্ষী থাকা দুটি দেশের এই খবরটি আশ্বস্ত বলে মনে হচ্ছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একজন মুখপাত্র শুক্রবার বলেছেন যে মহামারী শেষ হয়নি। এখানে সারা বিশ্ব থেকে সর্বশেষ কোভিড ১৯ আপডেট রয়েছে।
রবিবার, দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রতিদিনের কোভিড -19 কেস দ্বিতীয় দিনের জন্য ৪০০০০০ এর নিচে ছিল। দ্য কোরিয়া হেরাল্ড অনুসারে, দেশটি রবিবার ৩৩৪,৭০৮টি নতুন কেস নথিভুক্ত করেছে যেখানে শনিবার এটি ৩৮১,৪৫৪ টি করোনা মামলা রেকর্ড করেছিল।
এটি বৃহস্পতিবার দেশের সর্বকালের সর্বোচ্চ থেকে একটি তীব্র হ্রাস, যখন এটি ২৪ ঘন্টায় ৬২১,২৮১ টি নতুন কেস রেকর্ড করেছে।দক্ষিণ কোরিয়াও রবিবার ২৪ ঘন্টায় ৩২৭ টি নতুন কোভিড -১৯ মৃত্যুর রেকর্ড করেছে।
এদিকে, ব্যবসায় টিকে থাকতে সহায়তা করার প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে সরকার এই সপ্তাহে সামাজিক দূরত্বের নিয়মগুলি সহজ করতে প্রস্তুত। মেনল্যান্ড চিন রবিবার ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১৭৩৭ টি নতুন কোভিড -১৯ কেস রিপোর্ট করেছে, যা আগের দিনের ২২২৮ কেস থেকে কম হয়েছে।
জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নতুন কেসের মধ্যে ১৬৫৬ টি স্থানীয়ভাবে সংক্রমণ হয়েছে।এদিকে করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার দিকে দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে ভারত। করোনার দৈনিক সংক্রমণ নেমে গিয়েছে ২ হাজারের নীচে।
দীর্ঘদিন পর দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নামল ২ হাজারের নীচে। তবে মৃতের সংখ্যা নিয়ে উদ্বেগ কিছুতেই যাচ্ছে না। কদিন আগেই মৃত্যু নেমে গিয়ছেন ৫০-এর নীচে। এদিন আবার তা ১২৫ ছাড়িয়ে গিয়েছে। শনিবার জানা যায় গত ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২০৭৫ জন। গতকাল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৫২৮।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৭১ জনের। গতকাল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১৪৯। এক ধাক্কায় অনেকটাই কমেছে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা। এদিকে আবার করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট BA.2 হানা দিয়েছে ইজরায়েলে। তবে দেশের করোনা সংক্রমণ মোটের উপরে নিম্নমুখী রয়েছে।
গত ২ মাস ধরে ভারতের করোনা গ্রাফ নিম্নমুখী। আশাজনক হারে কমতে শুরু করেছে করোনা সংক্রমণ। কমছে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও। মুম্বই,দিল্লি, কেরল,কর্নাটকের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও করোনা সংক্রমণ অনেকটাই কমেছে। যদিও পশ্চিমবঙ্গে ৩১ মার্চ পর্যন্ত কোভিড বিধি বাড়ানো হয়েছে। তবে দোলের কারণে কয়েকদিন নাইচ কার্ফুতে ছাড় ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রায় ২ বছর গোটা দেশে মানুষ স্বতোঃস্ফূর্ত হোলি খেলেছেন। দোকানে বাজারে ভিড় করে রং কিনেছেন। পাড়ায় পাড়ায় দোল খেলা হয়েছে। এদিকে আবার করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলেছে ইজরায়েলে। ওমিক্রনের দুটি ভ্যারিয়েন্টের মিশ্রণ এই BA.2 ভ্যারিয়েন্ট। এখনও পর্যন্ত গবেষকরা এর কোনও নাম দেয়নি।
এদিকে শোনা যাচ্ছে মার্চ মাসেই ভারতে হানা দিতে পারে এই নতুন করোনা ভ্যারিয়েন্ট। এই নিয়ে ভারতকে সতর্ক করা হয়েছে। যেকোনও মুহূর্তে করোনা সংক্রমণ হু হু করে বাড়তে শুরু করবে ভারতে। এই ভ্যারিেন্টের হাত ধরেই ভারতে করোনা সংক্রমণের চতুর্থ ওয়েভ আসবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এর আগে মে মাস থেকে করোনা সংক্রমণ শুরু হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছিল এদিকে চিনে এবং আমেরিকায় নতুন করে করোনা সংক্রমণ।
নতুন ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান মেলায় ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রক জেনম সিকোয়েন্সের উপরেই জোর দেওয়া হচ্ছে । যাতে সহজে করোনার ভ্যারিয়েন্ট চিহ্নিত করা যায় তার উপরে জোর দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সেই সঙ্গে করোনা টিকাকরণের উপরেও জোর দেওয়া হয়েছে। ১২ বছরের উর্ধ্বে শিশুদের করোনা টিকাকরণ শুরু হয়ে গিয়েছে।