ব্যুরো রিপোর্ট: পূর্ব লাদাখে সংঘাতের ঘটনায় ফের একবার চিনকে টার্গেটে রেখে তোপ দাগল দিল্লি। এর আগে উত্তরাখণ্ডের বারাহোতিতে ঘোড়ায় সওয়ার হয়ে চিনের সেনা ভারতে প্রবেশ করেছিল বলে বহু মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হয়। বিষয়টি নিয়ে সেভাবে দিল্লির তরফে কোনও বার্তা নিশ্চিত করা হয়নি এখনও।
এদিকে, তারই মাঝে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, চিনের উস্কানিমূলক পদক্ষেপর জন্যই লাদাখ সীমান্তের দুই দিকে শান্তি রক্ষা করা যাচ্ছে না। দিল্লির এই বার্তা থেকে ফের একবার স্পষ্ট লাদাখ ইস্যুতে ভারতের স্টান্স কোনদিকে।
কয়েকদিন আগেই বিশ্ব মঞ্চে কূটনৈতিক পিচে মার্কিন সফরে তিন ও পাকিস্তান দুই দেশকে নিশানায় রেখে নরেন্দ্র মোদী ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করেন একাধিক হাইভোল্টেজ বৈঠকে। এরপর দিল্লির এই বার্তা দক্ষিণ এশিয়ার কূটনীতিতে বেশ তাৎপর্য বলেই মনে করা হচ্ছে।
এদিকে উত্তরাখণ্ডের বারাহোতিতে ঘোড়ায় সওয়ার হয়ে একদল চিনা সেনার জওয়ান ভারতের সীমান্তে প্রবেশ করেছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে, গত অগাস্ট মাসের ৩০ তারিখ নাগাদ এই ঘটনা ঘটে যায়।
মিডিয়ায় প্রকাশিত খবর বলছে, উত্তরাখণ্ডে ৫৫ টি ঘোড়ায় সওয়ার হয়ে অনুপ্রবেশ করে ওই সেনারা। মোট ১০০ জন লালফৌজন জওয়ান ভারতের মাটিতে যে শুধু পা রেখেছে তা নয়, মিডিয়া রিপোর্টের খবর অনুযায়ী,
উত্তরাখণ্ডের বুকে একটি ফুটব্রিজ তারা ভেঙে দিয়ে চলে যায়। এরপর ভারতীয় সেনা সেবিষয়ে খবর পেলে , তারা ঘটনাস্থলের দিকে যেতেই পালিয়ে যায় লালফৌজ।এদিকে, বিদেশমন্ত্রকের তরফে গতকাল বলা হয়েছে, চিনের উস্কানিমূলক পদক্ষেপ,
পরিস্থিতিকে নাড়িয়ে দেওয়ার মতো একক পদক্ষেপ লাদাখ সীমান্তের দউই দিকেই শান্তি বিরাজ করতে দিচ্ছে না। ভারত জানিয়েছে, লাদাখ সীমান্তের দুই দিকেই প্রচুর পরিমাণ সেনা মোতায়েন করে বারবার লাদাখ পরিস্থিতিকে উস্কানি দিয়ে যাচ্ছে সেনা।
কেন্দ্রের তরফে অরিন্দম বাগচি জানান, চিনের সেনা মোতায়েনকে রুখতে ভারতকেও পাল্টা সেনা মোতায়েন করতে হচ্ছে। আর তা করতে হচ্ছে, কারণ ভারতের নিরাপত্তা যাতে রক্ষিত হয়।
এরআগে ভারতের সেনার ‘ফরোয়ার্ড পলিসি’ নিয়ে কঠোর সমালোচনা করে চিন। বেজিংয়ের দাবি ছিল যে, ভারতীয় সেনা চিনের প্রদেশে প্রবেশ করেছে অবৈধভাবে। আর তা থেকেই লাদাখ সীমান্তে যাবতীয় সমস্যা শুরু হয়ে গিয়েছে।
বেজিং জানিয়েছে, চিনের এলাকায় অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে ভারত। যদিও চিনের এই দাবি ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছে দিল্লি। চিনের দাবি সর্বৈব ভিত্তিহীন বলে জানানো হয়েছে।উল্লেখ্য, ২০২০ সালের মে মাস থেকে লাদাখ সীমান্ত ইস্যুতে চিন ও ভারতে সংঘাত শুরু হয়।
করোনার প্রথম স্রোতে ভারত যখন বিধ্বস্ত ছিল ,সেই সময় প্রবেশ লাদাখে অবৈধভাবে প্রবেশ করে ভারতের সেনা। শুধু তাই নয়, এর পরবর্তী সময় থেকে প্যানগং লেক বরাবর সংঘাতের মাত্রা বাড়তে থাকে।
পরবর্তীকালে গালওয়ান সংঘাতে ভারতের বহু জওয়ান শহিদ হন। যদিও শীতকালীন পরিস্থিতিতে ২০২০ সাল থেকেই স্তিমিত হতে থাকে চিন-ভারত সংঘাত।