অবশেষে সরস্বতী পুজোর আগেই স্কুলে ফিরলেন পড়ুয়ারা! বিধি মেনেই চলবে ক্লাস

অবশেষে সরস্বতী পুজোর আগেই স্কুলে ফিরলেন পড়ুয়ারা! বিধি মেনেই চলবে ক্লাস

ব্যুরো রিপোর্ট:  বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হলেও স্কুল খোলার নির্দেশিকা জারি হয়নি, যা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে বিভিন্ন মহলে। অবশেষে কোভিড বেশ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসার পর স্কুল খোলার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আজ, বৃহস্পতিবার থেকে খুলছে স্কুল। অষ্টম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য স্কুলের দরজা আবারও খুলে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়েও শুরু হবে ক্লাস।

গত ৩১ জানুয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই স্কুল খোলার কথা ঘোষণা করার পরই স্কুলে স্কুলে শুরু হয় স্যানিটাইজেশনের কাজ। পড়ুয়া ও অভিভাবকেরাও স্বস্তি পেয়েছেন। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কী ভাবে স্কুল চালু করা যায়, সেটাই এখন সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ।

মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নির্দেশিকায় জোর দেওয়া হয়েছে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির প্র্যাকটিকাল ক্লাসে। করোনা পরিস্থিতিতে স্কুল বন্ধ থাকায় প্র্যাকটিকাল ক্লাস প্রায় হয়নি বললেই চলে। অনলাইনে পড়াশোনা চললেও হাতে কলমে পরীক্ষার জন্য প্র্যাকটিকালের গুরুত্ব অনেকটাই বেশি।

উচ্চমাধ্যমিকে প্র্যাকটিকালের একটা বড় ভূমিকা থাকে। অনেকটা নম্বর ধার্য করা থাকে প্র্যাকটিকালের জন্য। ফলে পড়ুয়াদের জন্য প্র্যাকটিকাল ক্লাস যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।তবে এবার নতুন করে স্কুল খোলার ক্ষেত্রে কোনও নির্দেশিকা জারি করা হয়নি।

তবে উল্লেখ করা হয়েছে, করোনার বিধিনিষেধ মেনে সুষ্ঠু ভাবে যাতে স্কুল খোলা যায়, তার জন্য এক জন করে নোডাল অফিসার মনোনীত করা হবে। ওই নোডাল অফিসার প্রশাসন ও স্কুলের মধ্যে সংযোগ রাখবে। আজ থেকেই স্কুলে যেতে পারবে পড়ুয়ারাও।

চাইলে হস্টেল খোলারও অনুমতি দেওয়া হবে। তবে সে বিষয়ে আলাদা করে কোনও ঘোষণা করেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, স্কুলে কোভিড বিধি মানতে বলা হয়েছে বাধ্যতামূলকভাবে.প্রায় ২ বছর বন্ধ রয়েছে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়।

গত বছরের নভেম্বর মাসে স্কুল খোলা হয়েছিল। ক্লাসও শুরু হয়েছিল রাজ্যের সব স্কুলগুলিতে। কিন্তু ওমিক্রনের ঢেউ এত দ্রুতগতিতে আছড়ে পড়েছিল যে মাস খানেকের মধ্যেই ফের স্কুল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিতে হয়।

পরে বিধি-নিষেধের কড়াকড়ি কিছুটা শিথিল করা হলেও স্কুল খোলা হয়নিষ সম্প্রতি বিভিন্ন মহলে এই নিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়।এছাড়া আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে পাড়ায় শিক্ষালয় কর্মসূচি শুরু হতে চলেছে।

মূলত শিশুদের সামাজিক সুরক্ষা সহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। আপাতত রাজ্যের ৫০ হাজার ১৫৯ টি প্রাথমিক স্কুলে এবং ১৫ হাজারের বেশি শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে এই উদ্যোগ শুরু হচ্ছে। মোট ২ লক্ষেরও বেশি শিক্ষক থাকছেন এই ব্যবস্থায়।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *