ব্যুরো রিপোর্ট: রবিবার রাতে অনেক জায়গাতেই কালবৈশাখী আঘাত হেনেছে। যে কারণে সকালের দিকটা তুলনামূলকভাবে অনেকটাই শীতল। আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে আগামী ২৪ ঘন্টায় রাজ্য জুড়েই ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
এদিন সকালে দেওয়া আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘন্টা অর্থাৎ ৪ মে বুধবার সকালের মধ্যে উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি রয়েছে।
শুধু মাত্র ২৪ ঘন্টার জন্য দার্জিলিং এবং কালিম্পং বাদ দিয়ে সবকটি জেলাতেই ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাতে পারে। যে কারণে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসও দেওয়া হয়েছে।
আগামী তিন দিনে তাপমাত্রা ২-৪ ডিগ্রি সেলসিয়ায় পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তবে এর পরের দুদিনে হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গে তাপমাত্রার সেরকম কোনও পরিবর্তন হবে না।
এদিন সকালে দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ৪৮ ঘন্টা অর্থাৎ ৪ মে বুধবার সকালের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের সবকটি বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির হতে পারে। সেই সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে সর্বোচ্চ ঘন্টায় ৬০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।
যে কারণে সবতটি জেলাতেই কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফথেকে। দক্ষিণবঙ্গেও আগামী দুদিন তাপমাত্রা ২-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে। পরবর্তী দুদিনে তাপমাত্রার সেরকম কোনও পরিবর্তন হবে না।
দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে শুক্রবার থেকে যে কালবৈশাখীর দাপট শুরু হয়েছে, তা রবিবারেও বজায় ছিল। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় রবিবার সন্ধে থেকে রাতের মধ্যে ঝড় বৃষ্টি হয়। রবিবার কৃষ্ণনগর এবং মেদিনীপুর বাদ দিয়ে প্রায় সব জায়গাতেই সর্বে্াচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি নিচে।
বলা ভাল রাজ্যের সর্বত্রই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে স্বাভাবিকের নিচে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ৫ মে পর্যন্ত এই আবহাওয়া জারি থাকবে।কলকাতার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে বলে এদিন সকালে দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
কোনও কোনও জায়গায় বৃষ্টি কিংবা বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৪ ও ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রবিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।