ব্যুরো রিপোর্ট: করোনার চতুর্থ ঢেউ আসবে কি না, তা বলবেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু দৈনিক করোনা সংক্রমণ ধারাবাহিকভাবে বেড়ে চলেছে। আর এই সংক্রমণের বাড়বৃদ্ধিতে প্রশ্ন উঠে পড়েছে চতুর্থ ঢেউ কি আসন্ন? কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকও চিন্তিত ফের করোনার বাড়বৃদ্ধিতে। শনিবার এক লাফে ফের করোনা বাড়ল অনেকটাই।বিগত ২৪ ঘন্টায় ৩৮০৫ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছেন।
।গতদিন এই সংখ্যাটা ছিল সাড়ে তিন হাজারের সামান্য বেশি। ভারতে এদিন ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। সক্রিয়ের সংখ্যা ফের বেড়ে ২০ হাজার পার করেছে। বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী দেশে গত ২৪ ঘন্টায় মোট ৩১৬৮ জন করোনা মুক্ত হয়েছে। করোনামুক্তির থেকে দেশে করোনার দৈনিক সংক্রমণ বেশি।
ফলে বাড়ছে সক্রিয়ের সংখ্যা। করোনা থেকে মুক্তিপ্রাপ্তের হার বর্তমানে ৯৮.৭৪ শতাংশ। মোট পুনরুদ্ধারের সংখ্যা ৪ কোটি ২৫ লক্ষ ৫৪ হাজার ৪১৬।কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ভারতে করোনার মোট সক্রিয় কেস ২০,৩০৩-এ পৌঁছেছে। সক্রিয়ের সংখ্যা প্রতিদিনই একটু একটু করে বাড়ছে।
দেশে মোট মৃতের সংখ্যা এখন ৫,২৪,০২৪। ভারতে কোভিড মহামারীজনিত কারণে প্রথম মৃত্যু হয়েছিল ২০২০ সালের মার্চ মাসে। সেই ধারা এখনও অব্যাহত।ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ বা আইসিএমআরের রিপোর্ট অনুসারে, দেশে করোনা সংক্রমণ ফের ঊর্ধ্বমুখী হওয়া যথেষ্ট চিন্তার কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে।
ভারতের ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল বা ডিসিজিআই সম্প্রতি বিভিন্ন বয়সের শিশুদের জন্য তিনটি কোভিড ভ্যাকসিন অনুমোদন করেছে। কিন্তু ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রবণতা কমেছে দেশে। বুস্টার ডোজ নেওয়ার আগ্রহও কমেছে। এইখানেই বেশি জোর দিতে চাইছে আইসিএমআর।
ডিসিজিআই ৬ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের জন্য ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনকে সীমাবদ্ধ জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। আরেকটি উন্নয়নে, ওষুধ নিয়ন্ত্রক জৈবিক ই-এর কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কোর্বাভ্যাক্সের জরুরি পরিস্থিতিতে ৫ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের জন্য সীমাবদ্ধ ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে।
এক পক্ষকাল ধরে দেশে ফের করোনার বাড়বাড়ন্ত শুরু হওয়ায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক ভ্যাকসিনের উপরই বেশি জোর দিয়েছেন। যাতে সবাই বুস্টার ডোজ নেয়, তা দৈনিক সংক্রমণ বাড়ছে, বাড়ছে সক্রিয়ের সংখ্যাও।
এদিন সামগ্রিক ভ্যাকসিন প্রাপ্তিকর সংখ্যা সারা দেশে ১৯০ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে। মোট ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া হয়েছে ১৯০ কোটি ৯৪ হাজার ৯৮২টি। এদিন ভ্যাকসিনশন হয়েছে ১৭ লক্ষ ৪৯ হাজার ৬৩ জনের।