ব্যুরো রিপোর্ট: ফের নিম্নচাপের ভ্রুকুটি গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে। তবে চিত্রটা পরিষ্কার হবে ১৮ সেপ্টেম্বরের পরে। এদিন সকাল থেকে আকাশের মুখ ভার। কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সকালের থেকে হাল্কা বৃষ্টি চলছে। উত্তরবঙ্গের দুটি জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
এদিন সকালে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ ১৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালের মধ্যে জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারের ভারী বৃষ্টি হতে পারে। অন্য জেলাগুলির কোথাও কোথাও হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ ১৭ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালের মধ্যে উল্লিখিত দুই ডেলা ছাড়াও দার্জিলিং-এ ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
বাকি জেলাগুলির পরিস্থিতি একই থাকার সম্ভাবনা। আপাতত দুদিন জেলাগুলির তাপমাত্রার পরিবর্তনের কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে তারপরের তিনদিন তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে।এদিন সকালে দেওয়া আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ৪৮ ঘন্টা অর্থাৎ ১৭ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের কোনও জেলাতেই ভারী হৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস দেওয়া হয়নি।
সবকটি জেলারই কোথাও না কোথাও হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। অন্যদিকে আগামী দুদিন তাপমাত্রার বড় কোনও পরিবর্তনের পূর্বাভাস না থাকলেও তারপরের তিনজিন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে।
এদিন সকালে দেওয়া আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় আকাশ মেঘলা থাকবে। দু-এক পশলা বৃষ্টি কিংবা বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩০ ও ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে।
এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯৫ শতাংশ।আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার উপকূলে উত্তর বঙ্গোপসাগরে ফের ঘূর্ণাবর্ত তৈরির সম্ভাবনা।
রবিবার নাগাদ বিষয়টি পরিষ্কার হতে পারে। এই ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হলে, তা আগামী সপ্তাহের শুরুতেই গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের ওপরে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা। অন্যদিকে একটি নিম্নচাপ মধ্যপ্রদেশের ওপরে অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
ব্র্যাকেটে আগের দিনের তাপমাত্রা
আসানসোল (২৫.২)
বহরমপুর (২৫.২)
বাঁকুড়া (২৪.৫)
বর্ধমান (২৪.৪)
কোচবিহার (২৫.১)
দার্জিলিং (১৫.৪)
দিঘা (২৬.৪)
কলকাতা (২৫.৯)
দমদম (২৫.৯)
কৃষ্ণনগর (২৪.৮)
মালদহ (২৩.৯)
মেদিনীপুর (২৬.২)
শিলিগুড়ি (২৬.৬)
শ্রীনিকেতন (২৪.৮)