ব্যুরো রিপোর্ট: ফের বাড়ছে দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১১৫০ জন। দেশে একদিকে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১১,৫৫৮ জন। চতুর্থ ওয়েভের সিঁদুরে মেঘ ঘনাচ্ছে। আগেই তাই সতর্ক মোদী সরকার।
সব রাজ্যসরকারকে এই নিয়ে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ ফের বাড়তে শুরু করেছে। গত কয়েকদিন ধরে ধাপে ধাপে বাড়ছে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যাও বাড়তে শুরু করেছে।
গত কয়েকদিনে একেবারেই নেমে গিয়েছিল অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা। হঠাৎ করে বাড়তে শুরু করেছে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা। তাতেই চতুর্থ ওয়েভের সিঁদুরে মেঘ দেখছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।গতকােল যেখানে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা হাজারের নীচে নেমে গিয়েছিল সেখানে ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।
দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪,৩০,৩৯,৯৭২। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে দেশে মারা গিয়েছেন ৫ জন। দেশে করোনা সংক্রমণে মোট মারা গিয়েছেন ৫,২১,৭৪৩ জন। করোনা সংক্রমণ শিশুদের মধ্যে বাড়তে শুরু করেছে।
দিল্লি এবং উত্তর প্রদেশের একাধিক স্কুেল পড়ুয়াদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। তাতে নতুন করে শঙ্কিত অভিভাবকরা। যদিও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। শিশুদের করোনা সংক্রমণ হলে আশঙ্কার কিছু নেই।এদিকে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ঢুকে পড়েছে ভারতেও।
গুজরাতে এক বাসিন্দার শরীরে সেই ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান মিলেছে। কয়েকদিন আগেই কানপুর এবং খড়গপুর আইআইটির গবেষকরা দাবি করেছিলেন মে মাস থেকে ফের করোনা সংক্রমণ বাড়বে। অর্থাৎ ফের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করবে মে মাস থেকে। তখনই শুরু হবে চতুর্থ ওয়েভ।
ওমিক্রনের নতুন দুই সাব ভ্যারিয়েন্ট ইতিমধ্যেই ইউরোপ এবং আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। সেই থেকে করোনা সংক্রমণের চতুর্থ ঢেউ ভারতে আছড়ে পড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা।ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক করোনা বিধি নিয়ে রাজ্যগুলিকে সতর্ক করেছে।
গোটা দেশে নিম্নমুখী করোনা গ্রাফ দেখে মাস্ক ছাড়া সব করোনাবিধিই তুলে নেওয়া হয়েছে। দূরত্ব বিধিও আর কার্যকর করা হচ্ছে না। নতুন করে করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করায় নতুন করে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে মোদী সরকার।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই নিয়ে দেশবাসীকে সতর্ক করেছেন। তিনি বলেছেন এখনও করোনাকে হাল্কা ভাবে নেওয়ার সময় হয়নি। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থাও ওমিক্রণের দুই সাব ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে সতর্ক করেছে বিশ্বকে।