ব্যুরো রিপোর্ট: ভয়ঙ্কর শক্তি নিয়ে ব্রিটেনের বুকে আছড়ে পড়ল বিধ্বংসী ঝড় ‘হারিকেন ইউনিস’ । ঘন্টায় প্রায় ২০০ কিমি বেগে আছড়ে পড়ছে এই ঝড়। আর এরপরেই কার্যত লন্ডভন্ড গোটা এলাকা।
এখনও পর্যন্ত বিধ্বংসী এই ঝড়ের কারনে সে দেশে নয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে।বিভিন্ন প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, কয়েক ঘন্টা ধরে ঝড়ের তাণ্ডব চলেছে। আর এরপরেই কার্যত ধ্বংসের চেহারা সব জায়গাতে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, গত কয়েক দশকের ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড় হচ্ছে ‘হারিকেন ইউনিস’ ।বৃহস্পতিবার নেদারল্যান্ডসের আবহাওয়া পরিষেবা দফতরের পক্ষ থেকে হারিকেন ইউনিস নিয়ে কড়া সতর্কতা জারি করেছে।
আবহাওয়া দফতররে পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শুক্রবার আছড়ে পড়তে পারে ভয়াবহ ঝড় ইউনিস। এই ঝড় হারিকেনের রূপ নিতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেই কারণেই সবরকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
একেবারে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। একই সঙ্গে একাধিক বিমান -ট্রেন বাতিল করা হয়।বিধ্বংসী ঝড় সঙ্গে হাওয়ার দাপট। মুহূর্তে ধ্বংসস্তুপের চেহারা নিয়েছে ওই শহর। একের পর এক বাড়ি ভেঙে পড়ে রয়েছে। উড়ে গিয়েছে একাধিক বাড়ির ছাদ।
বিধ্বংসী ঝড়ের কারণে লন্ডনের ও-টু অ্যারেনা স্টেডিয়ামের ছাদ উড়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, উত্তাল সমুদ্রে একের পর এক পাহাড় প্রমাণ ঢেউ আছড়ে পড়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়,
লিভারপুল, কর্নওয়াল, আয়ারল্যান্ড সহ একাধিক জায়গাতে বিদ্যুৎ নেই। অন্ধকারে ডুবে গিয়েছে গোটা এলাকা।সাম্প্রতিক কালের সবথেকে বিধ্বংসী ঝড়। লন্ডভন্ড ব্রিটেনের একাধিক শহর।
ঝড়ের কারণে আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বিমা চলাচলা। ফ্লত এই মুহূর্তে বিমানবন্দরে আটকে পড়ে রয়েছে একাধিক মানুষ। কার্যত স্তব্ধ সম্পূর্ণ বিমান চলাচল। অন্যদিকে পরিবহণের অবস্থাও ভয়ঙ্কর।
কারণ বহু রাস্তায় গাছ পড়ে রয়েছে। পড়ে রয়েছে ল্যাম্প পোস্ট গুলি। ফলে গাড়ি চলাচল সম্ভব হচ্ছে না। তবে উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে কিছু জায়গাতে। সেনাবাহিনী এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধার কাজ শুরু করেছে।
মেয়র সাদিক খান আগেই জানিয়েছিলেন, বিধ্বংসী ঝড় চলাকালিন ঘড়ের থাকার জন্যে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া নিরাপদে ঢুকে থাকার কথা জানানো হয়।
এমনকি সমুদ্র এলাকাতে যাতে কেউ না যায় সেজন্যে বাড়তি নজরদারি চালানো হয়। অন্যদিকে পরিস্থিতি নিয়ে প্রশাসনের তরফে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক শুরু হয়েছে।