ব্যুরো রিপোর্ট: মঙ্গলবার সকাল থেকে পরিষ্কার আকাশ। তবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি যে বেলা বাড়তেই শুরু হবে, তা দিনের শুরু থেকেই ভাল বোঝা যাচ্ছে। আপাতত সাত জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও জুনের শুরু থেকেই ফের একবার তীব্র গরমের মধ্যে পড়তে হবে অধিকাংশ রাজ্যবাসীকে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বুধ ও বৃহস্পতিবার নাগাদ কলকাতার তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রিতে পৌঁছে যাওয়ার সম্ভাবনা। অন্যদিকে পশ্চিমের জেলাগুলি, যেমন বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং পশ্চিম বর্ধমানের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি পেরিয়ে যেতে পারে।
তবে আবহাওয়া দফতরের তরফে এখনই তাপপ্রবাহের কোনও সতর্কবার্তা দেওয়া হয়নি।মঙ্গলবার সকালে দেওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, পরবর্তী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ ৩১ মে বুধবার সকালের মধ্যে দার্জিলিং এবং কালিম্পং এর কোনও কোনও জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে। বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে।
পরবর্তী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ ১ জুন বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলার কোনও কোনও জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে। বাকি তিন জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে।
আপাতত কয়েকদিন তাপমাত্রা ঊর্ধমুখী থাকবে বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে।মঙ্গলবার সকালে দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পরবর্তী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ ৩১ মে বুধবার সকালের মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূমের কোনও কোনও জায়গায় বজ্রপাত-সহ হাল্কা বৃষ্টির সম্ভাবনা।
এই সময় বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে।পরবর্তী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ ১ জুন বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী দিন চারেকে দিনের তাপমাত্রা ২-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে।
পশ্চিমের জেলাগুলিতে তুলনামূলকভাবে তাপমাত্রার বৃদ্ধি বেশি হবে।আবহাওয়া দফতর মঙ্গলবার সকালে জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘন্টায় কলকাতা-সহ আশপাশের এলাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকার সম্ভাবনা। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে যথাক্রমে ৩৭ ও ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে।
এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেশ কিছুটা বেড়েছে। ২৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। সোমবার এই তাপমাত্রা ছিল ২৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯১ শতাংশ। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বনিম্ন ৪৯ শতাংশ।