ব্যুরো রিপোর্ট: আপাতত দিন দুয়েক তাপপ্রবাহ থেকে রেহাই নেই। এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বুধবার রাজ্যের ছয় জেলার ছয় শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিন সাত জেলায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হলেও শুক্রবার তা নেমে ৪ জেলায় হতে পারে বলে পূর্বাভাস। বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প স্থলভাগে ঢুকছে। সে কারণে শনিবার-রবিবার থেকে পরিস্থিতি পরিবর্তনের একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
এদিন সকালে দেওয়া আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ ২৯ এপ্রিল শুক্রবার সকালের মধ্যে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
বাকি তিন জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। পরবর্তী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ ৩০ এপ্রিল শনিবার সকালের মধ্যে উল্লিখিত জেলাগুলির পরিস্থিতি একই থাকার সম্ভাবনা। তবে উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আগামী দিন দুয়েকে দিনের তাপমাত্রা সেরকম কোনও পরিবর্তনের সম্ভাবনা না থাকলেও পরের দুদিনে তাপমাত্রা খানিকটা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।এদিন সকালে দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ৪৮ ঘন্টা অর্থাৎ ৩০ এপ্রিল শনিবার সকালের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের সর্বত্রই আবহাওয়া শুকনো থাকার সম্ভাবনা।
৩০ এপ্রিল দক্ষিণবঙ্গের কোনও কোনও জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তবে এদিনের পাশাপাশি ২৯ এপ্রিলে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূমে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
রবিবার থেকে তাপপ্রবাহ হ্রাস পাবে এবং দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলারই কোথাও না কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বুধবার ছয় জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২ ডিগ্রির ওপরে।
এর মধ্যে বাঁকুড়ায় ৪২.৭ (+৪.৭), পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল ৪৩.৫ (+৬.৩), পুরুলিয়ায় ৪৩.১ (+৫.৫), হুগলির মগরায় ৪২ (+৭.৩), ঝাড়গ্রামে ৪২.৫ (+৫), মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে ৪২ (+৫.৩) ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কলকাতায় আপাতত অস্বস্তিকর আবহাওয়া বজায় থাকার সম্ভাবনা। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৭ ও ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। সোমবার কলকাতায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।