ব্যুরো রিপোর্ট: উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি হলেও আপাতত দক্ষিণবঙ্গের জন্য সেরকম কোনও স্বস্তির বার্তা নেই। আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে কলকাতা ও আশপাশের এলাকার আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। পশ্চিমের জেলাগুলির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।
এদিন সকালে দেওয়া আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ ১৩ এপ্রিল মঙ্গলবার সকালের মধ্যে উত্তরবঙ্গের হিমালয়ের পাদদেশ সংলগ্ন ৫ জেলা দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
বাকি তিন জেলা অর্থাৎ উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহ জেলার কোনও কোনও জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পরবর্তী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ ১৪ এপ্রিল বুধবার সকালের মধ্যে হিমালয়ের পাদদেশ সংলগ্ন ৫ জেলায় বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। সেখানে বজ্রবিজ্যুৎ-সহ হাল্কা বৃষ্টির সম্ভাবনা।
আর বাকি তিন জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। সঙ্গে আগামী ৪-৫ দিন দিনের তাপমাত্রার সেরকম বড় কোনও পরিবর্তন হবে না বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। রবিবার উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জায়গায় শিলাবৃষ্টির হয়।এদিন সকালে দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে,
আগামী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ ১২ এপ্রিল মঙ্গলবার সকালের মধ্যে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে। বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে। পরবর্তী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ ১৩ এপ্রিল বুধবার সকালের মধ্যে সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে।
উত্তরবঙ্গের মতো দক্ষিণবঙ্গে আগামী ৪-৫ দিন দিনের তাপমাত্রারও সেরকম কোনও পরিবর্তন হবে না। বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ায় রবিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১ ডিগ্রির ওপরে।এদিন সকালে দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, কলকাতা ও আশপাশের এলাকার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা।
সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩৫ ও ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকার সম্ভাবনা। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। যা রবিরাবের মতোই। রবিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ব্র্যাকেটে আগের দিনের তাপমাত্রা
আসানসোল (২৫.৭)
বালুরঘাট (২৩.৬)
বাঁকুড়া (২৫.১)
ব্যারাকপুর (২৫.৮)
বহরমপুর (২৫.২)
বর্ধমান (২৪.৬)
ক্যানিং (২৫)
কোচবিহার (২১)
দার্জিলিং (১২.২)
দিঘা (২৬.৫)
কলকাতা (২৭.২)
মালদহ (২৩.৫)
পানাগড় (২৪.৬)
পুরুলিয়া (২৪.১)
শিলিগুড়ি (২২.৩)
শ্রীনিকেতন ( ২৫.৪)