ব্যুরো রিপোর্ট: তৃণমূলে দাবির সঙ্গে ভারতীয় রাজনীতির বাস্তবতার কোনও সম্পর্ক নেই। ২০২৪-এর সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে সারা ভারতে বিরোধী জোটকে নেতৃত্ব দেওয়ার ঘাসফুল শিবির দাবিকে এই ভাষাতেই কটাক্ষ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী ।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তৃণমূল কংগ্রেস দাবি করে আসছে, সারা দেশে কংগ্রেস বিজেপির বিরুদ্ধে কোনও আন্দোলন করছে না। যা করছে তারাই করছে। তারাই ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী জোটকে নেতৃত্ব দিতে পারে বলে দাবি করেছে তৃণমূল।
যা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ২০২৪-এর সাধারণ নির্বাচনে বিরোধী জোটকে নেতৃত্ব দেওয়ার যে দাবি তৃণমূল করছে এবং বিজেপিকে হারানোর যে দাবি করছে, তা হাস্যকর।
এব্যাপারে পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেছেন, কংগ্রেস বিজেপির বিরুদ্ধে কোনও প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারেনি। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, অধীর চৌধুরীর বক্তব্য সেরকম আলাদা কিছুই নয়।
তাঁর মন্তব্যকে গুরুত্ব দেওয়ারও কোনও কারণ নেই বলেও মন্তব্য করেন তৃণমূল মহাসচিব।তিনি আরও বলেছেন, অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস শূন্য হয়েছে।
সেই পরিস্থিতিতে বিজেপির বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই শক্তিশালী বিরোধী হিসেবে উঠে এসেছেন, এটাই সত্য বলেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।অন্যদিকে, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্নীতি মুক্ত পুরবোর্ড গঠনের যে ডাক দিয়েছেন,
তা সাধারণ মানুষকে বোকা বানানোর জন্যই, কেননা তিনি (মমতা) যেসব নেতাদের মনোনয়ন দিয়েছেন, তাঁরাই দুর্নীতি অভিযুক্ত বলে কটাক্ষ করেছেন অধীর।অন্যদিকে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আক্রমণ করতে গিয়ে অধীর চৌধুরী বলেছেন,
তিনি (অভিষেক) আগেকার স্থানীয় নির্বাচনগুলিতে প্রমাণ করে দিয়েছেন, তাদের দল ভোট লুট করে, বিরোধীদের সন্ত্রস্ত করে।তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্কের ক্রমেই অবনতি লক্ষ্য করা গিয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে।
তৃণমূলের মুখপতর জাগো বাংলায় মন্তব্য করা হয়েছে, রাহুল গান্ধী নয়, বিজেপি তথা নকেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই বিরোধী মুখ। অন্যদিকে বিভিন্ন রাজ্যে দলের সম্প্রসারণে গিয়ে তৃণমূল দাবি করছে,
তারাই আসল কংগ্রেস। কেননা কংগ্রেস বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ব্যর্থ হয়েছে। গত ১০ বছরে কংগ্রেস সারা ভারতে প্রায় ৯০ শতাংশ নির্বাচনে বিজেপির কাছে পরাজিত হয়েছে বলেও পরিসংখ্যান তুলে ধরে দাবি করেছে তৃণমূল।