ব্যুরো রিপোর্ট: দক্ষিণবঙ্গে মেঘলা আকাশ থাকলেও, আপাতত ভারী বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। তবে উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। ভারী বৃষ্টি না হওয়ার কারণে দক্ষিণবঙ্গে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে বলেও জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
এদিন সকালে দেওয়া আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, পরবর্তী ৪৮ ঘন্টা অর্থাৎ ২৮ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলার কোনও কোনও জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
বাকি জেলাগুলির কোনও কোনও জায়গায় হাল্কা থেকে মাঝারিবৃষ্টি হতে পারে। আপাতত উত্তরবঙ্গের কোথাও তাপমাত্রার পরিবর্তনের কোনও সম্ভাবনা নেই।এদিন সকালে দেওয়া আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, পরবর্তী ৪৮ ঘন্টা অর্থাৎ ২৮ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলারই কোথাও না কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাধারি বৃষ্টি হতে পারে।
একইসঙ্গে আপাতত তাপমাত্রার পরিবর্তনেরও কোনও পূর্বাভাস নেই।এদিন সকালে দেওয়া কলকাতা ও আশপাশের এলাকার পরবর্তী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে আকাশ মেঘলা থাকবে।
দু-এক পশলা বৃষ্টি কিংবা বজ্রবিদ্যুত-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কোনও কোনও জায়গায়।সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩২ ও ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম। সর্বোচ্চ আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৯৫ শতাংশ।
আসানসোল ২১.৩
বহরমপুর ২৫.২
বাঁকুড়া ২৩.৯
বর্ধমান ২৩
কোচবিহার ২৫.৪
দার্জিলিং ১৬.২
দিঘা ২৪.৯
কলকাতা ২৫.৯
দমদম ২৬.১
কৃষ্ণনগর ২৬.২
মালদহ ২৬.৩
মেদিনীপুর ২৫
শিলিগুড়ি ২৫.২
শ্রীনিকেতন ২৫.৪
আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, সামনের দিন চারেকে ওড়িশা, গুজরাত, ঝাড়খণ্ড, তেলেঙ্গানা, দক্ষিণ কর্নাটক, তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, কাড়াইকালে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। জম্মুও কাশ্মীরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডেও। বিচ্ছিন্নভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পশ্চিম রাজস্থান, পূর্ব রাজস্থান, বিহার, পঞ্জাব,হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন জায়গায়। এছাড়াও সিকিম, অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তর-পূর্বের অসম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মনিপুর, মিজোরাম,
ত্রিপুরায়। অসম ও মেঘালয়ে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসওদেওয়া হয়েছে।মৌসুমী অক্ষরেখা এখনও স্বাভাবিক অবস্থানে দক্ষিণে রয়েছে। যা জয়সলমের, আজমেঢ়, গোয়ালিয়র, সাতনা, অম্বিকাপুর, বালাসোর হয়ে পূর্ব-দক্ষিণে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।