ব্যুরো রিপোর্ট: মুম্বইয়ে গত ৫ দিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশের মতো। বর্তমান কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার পর্যালোচনা বৈঠকে বসে উচ্চপর্যায়ের কমিটি। তবে নতুন কোনও বিধিনিষেধ কিংবা মাস্ক বাধ্যতামূলক করার আগে পরিস্থিতির আরও পর্যবেক্ষণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কেননা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সংখ্যাটা কম। অন্যদিকে এদিন সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ২৪ ঘন্টায় সারা দেশে আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে প্রায় ১৭ শতাংশের মতো।সোমবার মহারাষ্ট্রে ১০৩৬ জন আক্রান্তের মধ্যে মুম্বইয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬৭৬ জন।
অবশ্য রবিবারই তা সাপ্তাহিত গড় আক্রান্তের সংখ্যায় ১০০০ পেরিয়ে যায়। আর সোমবার নতুন আক্রান্তের সংখ্যায় সাতদিনের গড় হিসেবে ২৬ ফেব্রুয়ারির পর সর্বোচ্চ ছিল।মুম্বইয়ের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা মনে করছেন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট বি এ ৪ এবং বি এ ৫ এই সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য দায়ী।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ টোপে বলেছেন, অধিকাংশ সংক্রমণ বি এ ৪ এবং বি এ ৫স্ট্রেন থেকে। যেগুলি অত্যন্ত সংক্রামক।মন্ত্রিসভার সামনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, সাত দিনে আক্রান্তদের মধ্যে মুম্বইয়ে ৬৭.২৮% আক্রান্ত হয়েছেন।
তারপরে রয়েছে থানে। সেখানে ১৭.১৭%, পুনেতে ৭.৪২ %, রায়গড় ৩.৩৬%, পালঘরে ২% আক্রান্ত বৃদ্ধি হয়েছে। এই জায়গায় প্রশাসনকে পরীক্ষা জোরদার করতে বলা হয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আগেকার একটি সরকারি বিবৃতির উল্লেখ করে বলেছেন, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট কিংবা অন্য ভিড়ের জায়গায় সাধারণ মানুষকে মাস্ক পরতে হবে।
এছাড়াও যাঁদের সতর্কতামূলক ডোজ নেওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে, তাঁদের তা নিতে হবে।রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যেও স্বস্তির বিষয় হল হাসপাতালে ভর্তির হার কমেছে। তথ্য অনুযায়ী, পজিটিভ কেসের মাত্র ১ শতাংশ রাজ্যের হাসপাতালে ভর্তি।
সংক্রমণের তীব্রতা কম থাকায় এটি উদ্বেগের প্রধান কারণ নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি। মুম্বইয়ের হাসপাতালগুলিতে করোনা আক্রান্তদের জন্য শয্যার সংখ্যা ২৪৫৭৯ হলেও সোমবার তার মাত্র ০.৭৪% অর্থাৎ ১৮৫ টি ভর্তি ছিল।
আর ৪৭৬৮ টি অক্সিজেন যুক্ত শয্যার মধ্যে মাত্র ০.২৯%(১৪) টি ভর্তি ছিল।এদিন সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ঘন্টায় ৩৭১৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে।
এই সংখ্যাটা সোমবারের থেকে প্রায় ১৭ শতাংশ কম বলেও জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত সোমবার আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪৫১৮ জন। অন্যদিকে সারা দেশে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা নিয়ে সারা দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৫২৪, ৭০৮ জন।