ব্যুরো রিপোর্ট: সোমবারের থেকে মঙ্গলবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বাড়ল। সকাল থেকেই রয়েছে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। উত্তরবঙ্গের ৫ জেলায় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বর্ষা শুরু হলেও, দক্ষিণবঙ্গে তা কবে শুরু হতে পারে তার কোনও পূর্বাভাস এখনও দিতে পারেনি আবহাওয়া দফতর।
এদিন সকালে দেওয়া আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘন্টা অর্থাৎ ৯ জুন বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলারই কোথাও না কোথাও হাল্কা থেকে মাঝারিবৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে প্রথম ২৪ ঘন্টায় জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারের দু-একটি জায়গায় ভারী বৃষ্টি সম্ভাবনা রয়েছে। পরবর্তী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ ৯ জুন বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যেদার্জিলিং এবং কালিম্পং-এ ভারী বৃষ্টি এবং জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারের ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
উত্তরবঙ্গে আপাতত দিনের তাপমাত্রা পরিবর্তনের সেরকম কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানানো হয়েছে।এদিন সকালে দেওয়া আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘন্টা অর্থাৎ ৯ জুন বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলারই কোথাও না কোথাও হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনা রয়েছে।
উত্তরবঙ্গের মতো দক্ষিণবঙ্গে আপাতত দিনের তাপমাত্রার পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘন্টায় কলকাতার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। তবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে বলে জানানো হয়েছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৫ ও ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে।
এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন বাতাসে আপেক্ষিত আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৮৭ শতাংশ।আন্দামান কিংবা কেরলের মতো উত্তরবঙ্গেও নির্ধারিত সময়ের আগেই বর্ষা ঢোকে।
যদিও তা এই মুহূর্তে থমকে রয়েছে। শিলিগুড়ির পরে তা আর নিচের দিকে এখনও নামতে পারেনি। বলা ভাল মৌসুমী বায়ু ছড়িয়ে পড়ার মতো অনুকূল পরিস্থিতি নেই। যে কারণে উত্তরবঙ্গের বাকি জেলা এবং দক্ষিণবঙ্গে মৌসুমী বায়ু নিয়ে কোনও পূর্বাভাস দিতে পারছেন না আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা।
ব্র্যাকেটে আগের দিনের তাপমাত্রা
আসানসোল ( ২৭.৭)
বহরমপুর (২৬.৪)
বাঁকুড়া (২৪.৯)
বর্ধমান (২৫.৮)
কোচবিহার ( ২৪.৮)
দার্জিলিং (১৫)
দিঘা (২৯.৩)
কলকাতা (২৯.১)
দমদম (২৯)
কৃষ্ণনগর ( ২৮.২ )
মালদহ (২৫.১)
মেদিনীপুর (২৮.৩)
শিলিগুড়ি ( ২৫.৮)
শ্রীনিকেতন (২৭.২)