ব্যুরো রিপোর্ট: চিনের মাটিতে করোনার ভয়ঙ্কর প্রভাব গোটা বিশ্বকে নতুন করে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। ফিরছে ২০০০ সালের স্মৃতি। আর তা ভেবেই ঘুম উড়েছে বিশ্ববাসীর। আর এর মধ্যেই নয়া রিপোর্ট ঘিরে আশঙ্কার কালো মেঘ তৈরি হয়েছে।ওই রিপোর্টের দাবি, আগামিদিন চিনের জন্যে মোটেই সুখকর নয়।
প্রত্যেকদিন এক মিলিয়ন অর্থাৎ প্রায় ১০ লাখ মানুষ করোনাতে আক্রান্ত হতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হয়েছে অউই রিপোর্টে। শুধু তাই নয়, ২৪ ঘন্টায় অন্তত ৫০০০ মানূষের মৃত্যু হতে পারে বলেও দাবি।করোনা নিয়ে ফের একবার তথ্য লুকোচ্ছে চিন। ঠিক কতজন মানুষ সে দেশে আক্রান্ত সেই সংক্রান্ত কোনও তথ্য দিচ্ছে না তাঁরা।
তবে সে দেশের যে সমস্ত ছবি এবং ভিডিও প্রকাশ্যে আসছে তা নিয়ে একটা আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে ব্লমবার্গের রিপোর্টে এয়ারফিনিটি লিমিটেড, একটি বিশ্লেষণ সংস্থার তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। আর সেই সংস্থার রিপোর্ট ঘিরেই আশঙ্কা বাড়ছে।
সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী করোনা পলিসি হালকা করতেই সে দেশে ওমিক্রণের সাব ভ্যারিয়েন্টের ভয়ঙ্কর সংক্রমণ ঘটে গিয়েছে। আর এই কারণে আগামী এক মাসের মধ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৭ হাজার পর্যন্ত হতে পারে। মার্চে এই সংক্রমণের হার ৪৫ লাখ পর্যন্ত ছুঁতে পারে বলে ওই রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
চিন এখনও পর্যন্ত করোনা নিয়ে কোনও তিওথ্য জারি করেনি। কিন্ত্য বেজিংয়ে সংক্রমণের সংখ্যা ৫০ শতাংশের বেশি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এমনকি সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় এই সংখ্যা 70 শতাংশ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পরিস্থিতি যথেষ্ট চিন্তার বলে দাবি করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। রিপোর্ট অনুসারে ওমিক্রনে অপেক্ষাকৃত অনেক কম মানুষের মৃত্যু হয়। কিন্তু দেশের প্রবীণ জনসংখ্যাকে নয়া এই ভ্যারিয়েন্ট ধাক্কা দিতে পারে।
ব্লুমবার্গের রিপোর্ট অনুসারে সম্প্রতি করোনার ভয়ঙ্কর ধাক্কা লেগেছে চিনে। ভরে গিয়েছে সমস্ত হাসপাতাল। এমনকি প্রবল জ্বর নিয়েও প্রবীণ মানুষদের হাসপাতালের বাইরে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
চিকিতসার জন্যে হাসপাতালে পর্যাপ্ত ডাক্তার স্বাস্থ্য কর্মী পর্যন্ত নেই। সবাই করোনাতে আক্রান্ত বলে জানা যাচ্ছে। এমনকি মৃতের সংখ্যাও হু হু করে বাড়ছে বলে জানা যাচ্ছে। এই অবস্যহায় চিন কীভাবে করোনা পরিস্থিতি সামলাবেন সেটাই বড় চ্যালেঞ্জ।