দেশের ১০ জনের ৭ জন আমিষভোজী! পশ্চিমবঙ্গ সহ ৬ রাজ্যে জনসংখ্যার ৯৭ শতাংশের বেশি মানুষের পছন্দ আমিষ খাবার

দেশের ১০ জনের ৭ জন আমিষভোজী! পশ্চিমবঙ্গ সহ ৬ রাজ্যে জনসংখ্যার ৯৭ শতাংশের বেশি মানুষের পছন্দ আমিষ খাবার

ব্যুরো রিপোর্ট:  আহমেদাবাদে রাস্তার ধারের খাবারের স্টলগুলিকে বলা হয়েছে, এখন থেকে তারা আমিষ খাবার বিক্রি বিক্রি করতে পারবে না। অন্যদিকে গুজরাতের আরও দুই শহর ভদোদরা এবং রাজকোটের খাবারের স্টগুলিকে বলা হয়েছে, আমিষ খাবার ঢেকে বিক্রি করতে।

গুরুগ্রামে সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে মাংসের দোকান খুলতে দেওয়া হয়। দিল্লি পুরসভারও আমিষ খাবার দোকানের সামনে রেখে বিক্রি করার ব্যাপারে আপত্তির কথা জানিয়েছে।ওপরে কয়েকটি জায়গার উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। তবে অনেক জায়গাতেই দেশবাসীর খাবারের অভ্যাস পরিবর্তনের চেষ্টা করা হচ্ছে।

যদিও এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ৭০ শতাংশের বেশি মানুষ আমিষ খাবার যেমন মাছ-মাংস কিংবা ডিম খেয়ে থাকেন। ডিমের পুষ্টিকর গুণ থাকা সত্ত্বেও ১২টির বেশি রাজ্য মিড-ডে মিলে ডিম দেওয়ার অনুমতি দেয়নি।

শিশুদের খাবারে ডিম যুক্ত করা হবে কিনা তা নিয়ে সারা দেশে বিতর্ক রয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে একদিকে যখন মধ্যপ্রদেশ সরকার শিশুদের খাবারের তালিকা থেকে ডিম সরিয়ে গিয়েছে, অন্যদিকে কর্নাটক সরকার তা যুক্ত করেছে।ভারতবাসী মাংস পছন্দ করে।

তা এক সমীক্ষাতেই প্রকাশ হয়েছে। ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভেতে দেখা গিয়েছে দেশের ৭৮ শতাংশ পুরুষ এবং ৭০ শতাংশ মহিলা মাংস খেয়ে থাকেন। তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ডবাসীর ৯৭ শতাংশের বেশি আমিষ খাবার পছন্দ্র করেন।

তুলনায় পঞ্জাব, হরিয়ানা, গুজরাত, রাজস্থানের ৪০ শতাংশের কম মানুষ আমিষ খাবার পছন্দর করেন।দেশের মানুষের আয় বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মাংস খাওয়ার পরিমাণও বেড়েছে। ২০২০ সালে ভারতবাসী প্রায় ৬০ লক্ষ টন মাংস খেয়েছে।

দেশবাসীর অর্ধেকের বেশি সপ্তাহের একদিন আমিষ খেয়ে থাকেন।পশ্চিমবঙ্গ এবং কেরল-সহ নয় রাজ্যে মাংস খাওয়ার ওপরে এখনও কোনও নিষেধাজ্ঞা বলবত করা হয়নি।ভারতে সারা বিশ্বের ২.১৮ শতাংশ মাংস উৎপাদন করে।

চিনের পরেই, দেশ রয়েছে বিশ্বের ষষ্ঠস্থানে। মাংস উৎপাদনের নিরিখে বিশ্বের প্রথম ছটি দেশ হল দেশগুলি হল আমেরিকা, ব্রাজিল, রাশিয়া, জার্মানি, চিন ও ভারত। দেশের মৎস্য এবং প্রাণীসম্পদ বিকাশ দফতরের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী ভারতে ২০১৪-১৫ সাল থেকে ২০১৯-২০ সালের মধ্যে মাংস উৎপাদন বেড়েছে প্রতি বছরে প্রায়

৫.১৫ শতাংশ হারে।ভারতের মাংসের মধ্যে ৩০ শতাংশ আসে মহিষ থেকে। রাজ্যগুলির মধ্যে উত্তরপ্রদেশ ১৫ শতাংশ, মহারাষ্ট্র ১৩ শতাংশ এবং পশ্চিমবঙ্গ ১০ শতাংশ মাংস উৎপাদন করে দেশের প্রথম তিনে স্থান করে নিয়েছে।দেশে করোনাকালে অন্য সব ব্যবসায় আঘাত পড়লেও, মাংসের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে করোনা পরিস্থিতি দেশ থেকে মহিষের মাংস রপ্তানিতে কোনও প্রভাব পড়েনি। ২০২০-২১ আর্থিক বর্ষে প্রায় আগের বছরের মতোই ৩.১৭ বিলিয়ন ডলার মাংস রপ্তানি করেছে ভারত। সারা বিশ্বের মধ্যে মহিষের মাংস রপ্তানিতে বড় দেশগুলির মধ্যে অন্যতম হল ভারত।

এইদেশ থেকে প্রায় ৭০ টি দেশে মহিষের মাংস রপ্তানি করা হয়ে থাকে। ২০১৮-১৯ সালে দেশের বড় ১০ টি মহিষের মাংস রপ্তানিকারী সংস্থার মধ্যে সাতটি ছিল উত্তর প্রদেশ থেকে, দুটি মহারাষ্ট্রের এবং একটি দিল্লির। লোকসভায় প্রশ্ন-উত্তর পর্বে এই তথ্য দিয়েছিলেন মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *