বিচার হবেই’, কেষ্টর দিল্লি সফরের আগে ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা ফিরহাদ হাকিমের

বিচার হবেই’, কেষ্টর দিল্লি সফরের আগে ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা ফিরহাদ হাকিমের

ব্যুরো রিপোর্ট: হয়তো আর কিছুক্ষণের অপেক্ষা। তারপরেই কেষ্টকে নিয়ে দিল্লি উড়ে যাবে ইডি। তার আগে অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি বীরভূমের দায়িত্ব তাঁর কাঁধেও রয়েছে। ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, ‘বিচারের বাণী নীরবে, নিভৃতে কাঁদবে না। বিচার হবেই, বিচারে সত্য়তা বেরিয়ে আসবে।

‘ইডি তাঁকে দিল্লি নিয়ে গেলেও দল যে তাঁর পাশেই রয়েছে সেই বার্তা দিলেন ফিরহাদ হাকিম। রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী এবং কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, ‘বিচারের বাণী নীরবে, নিভৃতে কাঁদবে না। বিচার হবেই, বিচারে সত্য়তা বেরিয়ে আসবে। আমরা বিচার ব্যবস্থার উপর বিশ্বাস করি।

ভগবান যেমন কোনও অন্যায় করতে পারেন না, বিচারকও পারেন না। এটা আমি মন থেকে বিশ্বাস করি। এজেন্সির রাজ শেষ কথা বলবে না। শেষ কথা বলবেন মানুষ।’ অর্থাৎ দল যে অনুব্রত মণ্ডলের পাশে ছিল এবং পাশেই থাকবে সেই বার্তা দিয়েছেন তিনি।আজই কেষ্টকে নিয়ে দিল্লি উড়ে যাবে ইডি। তার জন্য জোকা ইএসআই হাসপাতালে হচ্ছে পরীক্ষা।

আদালতের নির্দেশ মেনেই আজ কেষ্টকে জোকা ইএ সআই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। আসানসোল কমিশনারেটের নিরাপত্তা নিয়েই আসানসোল সংশোধনাগার থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে। জোকা ইএসআই হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষার পর ছাড় পত্র মিললে তবেই তাঁকে ইডির হাতে তুলে দেওয়া হবে।

ইডি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে যাবে। রাত হয়ে যাওয়ায় আজই তাঁকে দিল্লিতে আদালতে পেশ করা হবে না বলেই খবর পাওয়া গিয়েছে।আসানসোল থেকে কলকাতায় নিয়ে আসার পথে শক্তিগড়ে থেমেছিল তাঁর কনভয়। সেখানেই ব্রেকফাস্ট করেন অনুব্রত মণ্ডল। সেখানেই হঠাৎ করে তিন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠক করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।

তিনজনের কেউ পুলিশকর্মী ছিলেন না। কিন্তু পুলিশের চোখের সামনেই তিনজনের সঙ্গে এক টেবিলে বসে প্রায় আধঘণ্টা বৈঠক করেন তাঁদের সঙ্গে। যাঁরা বৈঠক করেছেন অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে তাঁদের মধ্যে একজনের নাম কৃপাময় ঘোষ। তিনি বোলপুরের বাঁধগোড়ার বাসিন্দা।

দ্বিতীয় ব্যক্তি অনুব্রত কন্যা সুকন্যার গাড়ির চালক তুফান মিদ্দা। আর তৃতীয় ব্যক্তির পরিচয় এখনও জানা যায়নি।অনুব্রত মণ্ডলের পাশে থাকার বার্তা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই দিয়েছিলেন। সেকারণেই তাঁর জায়গায় বীরভূমের দায়িত্ব কাউকে দেওয়া হয়নি।

নিজের হাতেই বীরভূমের দায়িত্ব রেখেছিলেন তিনি। তাঁকে সাহায্য করার জন্য রাখা হয়েছে ফিরহাদ হাকিমকে। ফিরহাদ হাকিমও বীরভূমের দিকে নজর রাখবেন বলেই জানিয়েছিলেন তিনি। অর্থাৎ তাঁর কাছে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ অনুব্রত মণ্ডল সেটা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *