ব্যুরো রিপোর্ট: প্রত্যাশা মতো জয় দিয়েই বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল বেলজিয়াম। ফিফা ক্রমতালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা দল ১-০ গোলে পরাজিত করল কানাডাকে। তবে, বেলজিয়ামকে এই জয় পেতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। কানাডার সঙ্গে যদি ভাগ্য থাকত তা হলে নিশ্চিত ভাবে এই ম্যাচে শূন্য হাতে ড্রেসিং রুমে ফিরতে হত বেলজিয়ামকে।
এই ম্যাচকে বিশ্লেষণ করতে গেলে বলতে হয় খেলল কানাডা জিতল বেলজিয়াম। চলতি বিশ্বকাপে দুই দলেরই প্রথম ম্যাচ ছিল এটি। বিশ্বের ২ নম্বর দলের বিরুদ্ধে বিশ্বের ৪১ নম্বর দল যে ফুটবলটা উপহার দিয়েছে তা দীর্ঘ দিন মনে থাকবে ফুটবলপ্রেমীদের। এই দিন পুরো ম্যাচে ডিফেন্স করেই যেতে হল বেলজিয়ামকে। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নিজেদের ছন্দেই ম্যাচকে নিয়ন্ত্রণ করে কানাডা।
প্রথম মিনিট থেকে শেষ মিনিট পর্যন্ত আধিপত্য ছিল কানাডার। বল পজিশন কানাডার কাছে ছিল ৪৬ শতাংশ ছিল কানাডার কাছে। ৮২ শতাংশ পাসিং অ্যাকিউরেসি ছিল দলটার। নিজেদের মধ্যে পুরো ম্যাচে ৪২৯টি পাসের মধ্যে ৩৫৩টি নির্ভুল খেলে কানাডা।
এ দিন ম্যাচের শুরুতেই এ গিয়ে যেতে পারত কানাডা যদি না পেনাল্টি মিস করতেন বায়ার্ন মিউনিখে খেলা আলফপুরো ম্যাচে তিনটি সহজ সুযোহ তৈরি করেছিল কানাডা গোল করার কিন্তু একটি থেকেও তারা গোল তুলতে পারেনি। প্রথম পেনাল্টি গোলটা হয়ে গেলে ম্যাচে চিত্র অন্য রকম হওয়া সম্ভাবনা প্রবল ছিল।
গোল লক্ষ্য করে সারা ম্যাচে ২২টি শট নেয় কানাডা যার মধ্যে ১১টি ছিল অফ টার্গেট এবং ৩টি ছিল টার্গেটে। এই তিনটি থেকেই গোল আসতে পারত যদি একটু বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতেন বুক চিতিয়ে লড়াই করা ফুটবল স্টিফেন ইউস্তাকিয়ো – টাজন বুকাননরা।
বিশেষ করেন আলফনসো ডেভিস নিজেকে ক্ষমা করতে পারবেন না যে ভাবে পেনাল্টি থেকে বেলজিয়ামের গোলরক্ষক থিয়াবটকুয়োর্তয়ার দিকে সরারসরি তিনি মারেন সেই কারণে।নসো ডেভিস।কানাডা যেখানে পুরো ম্যাচে ২২টি শট নিয়েছে সেখানে বেলজিয়ামের শট মাত্র ৯টি।
অন টার্গেটে যার মধ্যে ছিল তিনটি। যার মধ্যে মিচি বাতসুয়াই দু’টি অন টার্গেট রাখেন। প্রথম মিনিটেই সাইড ভলিতে দুর্দান্ত শট নিয়েছিলেন তিনি কিন্তু কানাডার গোলরক্ষক দারুণ ভাবে সেই প্রয়াস প্রতিহত করেন। ম্যাচের একমাত্র গোলটিও তিনিই করেছেন। ৪৪ মিনিটে টবি অল্ডারউইরেল্ডের লং বল ধরে দারুণ প্লেসিং-এ বেলজিয়মের জয়সূচক গোলটি করেন তিনি।