আসছে চিনা নববর্ষ, উৎসবের মুখে করোনার মাঝেই দেশীয় সফর নিয়ে বড় ঘোষণা জিনপিং সরকারে

আসছে চিনা নববর্ষ, উৎসবের মুখে করোনার মাঝেই দেশীয় সফর নিয়ে বড় ঘোষণা জিনপিং সরকারে

ব্যুরো রিপোর্ট: দেশ জুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস। তার মাঝেই আবার নববর্ষের দিন এগিয়ে আসছে। সকলেই বাড়ি ফিরতে চায়। কাছের মানুষের সঙ্গে সময় কাটাতে চায়। এই করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও অন্তঃদেশিয় সফর নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে জিনপিং সরকার। ২০২০ সালের পর এইবার প্রথম কোনও বিধিনিষেধ ছাড়াই দেশের অভ্যন্তরে যেকোনও জায়গায় সফর করতে পারবেন নাগরিকরা।

এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।আগামী ২১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে যাবে চিনা নববর্ষের ছুটি। তার আগেই সকলে বাড়ি ফিরতে চান। ফিরতে চান আপনজনের কাছে। সেকারণে দেশের যেখানে কর্মসূত্রে থাকেন সে সেখান থেকে নিজের পরিজনদের কাছে ফিরতে যান। আত্মীয় পরিবারকে নিয়ে একসঙ্গে নববর্ষ উদযাপন করা হয় এখানে।

চিনের বড় উৎসব এই নববর্ষ। সেকারণে এই সময় রাস্তাঘাটে ভিড় থাকে বেশি। করোনার কারণে দেশের অভ্যন্তরেই একাধিক জায়গায় সফরে একাধিক নিশেধাজ্ঞা বহাল ছিল। ২০২০ সাল থেকেই সেই নিষেধাজ্ঞা বহল করা হয়েছিল।

এই প্রথম সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে।জিনপিং সরকার এবার আর চিনা নববর্ষের আগে কোনও রকম নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখছে না অর্থাৎ দেশের অভ্যন্তরে কোথাও সফরে নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখা হচ্ছে না। কাজেই এবার এই মুক্ত সফরে করোনা সংক্রমণ আরও মারাত্মক হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

প্রায় ২ হাজার কোটি মানুষ এই সময়ে চিনের বিভিন্ন প্রান্তে সফর করবেন বলে মনে করা হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতি যখন দেশে চরম সেসময় জিনপিং সরকারের এরকম একটা বেলাগাম সিদ্ধান্তে আরও শঙ্কা দেখা দিয়েছে।করোনা সংক্রমণ আরও মারাত্মক হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আগামী ৪০ দিন এই বিধিনিষেধ বহাল থাকবে না বলে জানানো হয়েছে। কঠোর লকডাউনের কারণে এবার জিনপিং সরকারের বিরুদ্ধে চিনে তুমুল বিক্ষোভ হয়েছেষ। এমনকী জিনপিংয়ের পদত্যাগের দাবিও উঠেছে। সেকারণেই হয়তো এই ছাড় বলে মনে করা হচ্ছে। মানুষের সমর্থন পেতেই জিনপিং সরকার এই পদক্ষেপ করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *