উৎসবের মরশুমে করোনার দৈনিক আক্রান্ত পৌঁছল ১৩ হাজারের ঘরে, ভারতের পরিসংখ্যান একনজরে

উৎসবের মরশুমে করোনার দৈনিক আক্রান্ত পৌঁছল ১৩ হাজারের ঘরে, ভারতের পরিসংখ্যান একনজরে

ব্যুরো রিপোর্ট:  করোনার জেরে দৈনিক পরিসংখ্যানে ওঠানামা অব্য়াহত রয়েছে দেশে। উৎসবের মরশুমে হু হু করে বেড়ে গিয়েছে আক্রান্তের সংখ্য়া। এদিকে, পরিস্থিতি ক্রমাগত উদ্বেগজনক হয়ে যাচ্ছে করোনার জেরে।

দৈনিক পরিসংখ্যানের অঙ্ক বেড়ে গেলেও, এই সংক্রমণের অ্যাক্টিভ কেস আপাতত স্বস্তিতে রাখছে দেশকে। উৎসবের মরশুমে যেখানেে ভ্যাকসিনেশন অনেকটাই কমে গিয়েছিল, সেখানে তা আপাতত নতুন গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বলে দেখা যাচ্ছে।

একনজরে দেখে নেওয়া যাক, আজ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে আসা পরিসংখ্যান।এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে যে পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ১৩, ০৯১ জন।

শেষ ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩৪০ জনের। অ্যাক্টিভ কেস লোড রয়েছে ১,৩৮,৫৫৬ জন। উল্লেখ্য এই অ্যাক্টিভ কেস লোড গত ২৬৬ দিনে এদিন সবচেয়ে কম রয়েছে। উল্লেখ্য , মৃতের সংখ্যা থেকে শুরু করে অ্যাক্টিভ কেসে খানিকটা কমতি দেখা গিয়েছে ,

গত কয়েক মাসের নিরিখে। তবে মৃতের সংখ্যা গত কয়েকদিনের তুলনায় বেশি বলেই পরিগণিত হচ্ছে। এমন এক পরিস্থিতিতে রীতিমতো উদ্বেগে রয়েছে দেশ।

উল্লেখ্য, দেশে করোনার দ্বিতীয় স্রোতের সময় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা একটা সময় ৪ লাখের ঘরে পৌঁছে যায়। সেই জায়গা থেকে এদিন ১৩ হাজারের ঘরে রয়েছে কেস লোড।

তবে দিওয়ালি ও ছটের মরশুমের ১৪ দিন পার হতেই দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কোনদিকে যেতে পারে তা নিয়ে রয়েছে জল্পনা।উল্লেখ্য, গতকাল ও আজ ছট পুজোর আয়োজনে মাতোয়ারা ছিল দেশের বিভিন্ন অংশ।

বহু জায়গাতেই জমায়েত দেখা গিয়েছে। সেই জায়গা থেকে রীতিমতো করুণ পরিস্থিতি রয়েছে দেশের। এদিকে, করোনার জেরে দেশে চিকিৎসাধীন ১ লক্ষ ৩৮ হাজার ৫৫৬ জন। অ্যাক্টিভ কেসের এই অঙ্ক যা গত ২৬৬ দিনে সর্বনিম্ন।

তবে উদ্বেগ বাড়িয়ে দিচ্ছে বিগত উৎসবের মরশুম। যেখানে পর পর ইউরোপীয় দেশগুলিতে রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের জেরে ,সেখানে ভারতে আপাতত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে করোনা পরিস্থিতি।

এই জায়গা থেকে ভারতে আগামী সময়ে করোনার দাপট কমাতে ভ্যাকসিনেশনের গতি বেড়েছে। এদিকে, গতকাল যে পরিসংখ্য়ান ভারতের সামনে এসেছিল তা ছিল , শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১১ হাজার ৪৬৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।

এই পরিস্থিতিতে কেরল , মহারাষ্ট্র, মিজেরাম ঘিরে অব্যাহত রয়েছে উদ্বেগ।গতকালের তুলনায় এই সংখ্যা বেশ খানিকটা বেশি। করোনার দৈনিক আক্রান্তের গ্রাফ একটা সময় নেমে এসেছিল ১০ হাজারের ঘরে।

এদিন করোনার গ্রাফ ফের একটু ঊর্ধ্বে উঠল। এদিন প্রায় ১ হাজার সংক্রমণ বেশি হয়েছে। মোট করোনা সংক্রমণ দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৪৩ লক্ষ ৮৬ হাজার ৭৮৬। এমন এক পরিস্থিতিতে দেশকে ঘিরে রয়েছে একধিক আশঙ্কা।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *