ব্যুরো রিপোর্ট: ইপিএফও -র তরফ থেকে কর্মচারী এবং তাঁদের পরিবারের জন্য বড় আর্থিক সুবিধার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, কোনও কর্মীর মৃত্যু হলে এক্সগ্রাসিয়া ডেথ রিলিফ ফাণ্ড থেকে তাঁর নিকটতম পারিবারিক সদস্যকে দ্বিগুণ টাকা দেওয়া হবে ।
ইপিএফও-র ঘোষণায় সারা দেশে প্রায় ৩০ হাজার কর্মী উপকৃত হবেন। বিজ্ঞপ্তি জারির সঙ্গে সঙ্গেই নির্দেশিকা লাগু করার কথা বলা হয়েছে। এব্যাপারে দেশের বিভিন্ন অংশে থাকা অফিসগুলিকে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে।
সর্বভারতীয় অনলাইন নিউজ পোর্টালে ইপিএফও-কে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে করোনায় মারা গেলে এই সুবিধা পাওয়া যাবে না। বলা হয়েছে, হঠাৎ মৃত্যু হলে, ইপিএফও সদস্যের পরিবারে মৃতের নিকটতম সদস্য ৮ লক্ষ টাকা পাবেন।
এই ফান্ড থেকে ২০০৬ সালে মাত্র ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হত। এরপর তা বাড়িয়ে ৪.২০ লক্ষ টাকা করা হয়েছিল। এবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে প্রতি তিন বছরে এই সাহায্যের পরিমাণ ১০ শতাংশ করে বাড়ানো হবে। তবে ইপিএফও-র তরফে বলা হয়েছে,
সদস্যরা সর্বনিম্ন ১০ লক্ষ এবং সর্বোচ্চ ২০ লক্ষ টাকা দাবি করেছিলেন হঠাৎ কোনও মৃত্যুর ক্ষেত্রে।ইপিএফও-র দেওয়া সার্কুলার অনুযায়ী, যদি কোনও কর্মীর কোভিড ব্যতীত অন্য কোনও মৃত্যু হয়, যেমন স্বাভাবিক মৃত্যু,
তাহলে তাঁর পরিবার ৮ লক্ষ টাকা পাবে। ইপিএফও-র সদস্য প্রত্যেক কর্মীই একই টাকা পাবেন। ওয়েলফেয়ার বোর্ডের থেকে এই টাকার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে।
সেন্ট্রাল স্টাফ ওয়েলফেয়ার কমিটি অ্যান্ড এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং সেন্ট্রাল প্রভিডেন্ট ফান্ড কমিশনার এই অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধির অনুমোদন দিয়েছেন।
অন্যদিকে কোনও সদস্যদের মৃত্যু যদি করোনার কারণে হয়, তাহলে ২৮ এপ্রিল, ২০২০-র নির্দেশিকা অনুসরণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এটা উল্লেখ করা যেতে পারে ইপিএফও, গত দুবছর ধরে তার সদস্যদের বছরে ৮.৫ শতাংশ হারে সুদ দিচ্ছে।
হরিয়ানায় কোনও বেসরকারি সংস্থার কর্মী, যিনি ইএসআই-এর অন্তর্ভুক্ত, তাঁর যদি করোনায় মৃত্যু হয়, তাহলে তাঁর ওপর নির্ভরশীল পরিবারের সদস্যদের প্রতিমাসে সাহায্যের কথা বলা হয়েছে।
এর অধীনে, প্রায় ৯০ শতাংশ দিন মজুরের পরিবারকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মৃতের স্ত্রীকে বাকি জীবনের জন্য সুবিধা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, যদি তিনি দ্বিতীয় কোনও বিয়ে না করেন। এছাড়াও পুত্র ও কন্যা যতদিন না পর্যন্ত ২৫ বছর পূর্ণ করবেন, ততদিন পর্যন্ত সুবিধা পাবেন, প্রতিমাসে ১৮০০ টাকা।