ব্যুরো রিপোর্ট: ফের সীমান্তে দাদাগিরি চিনের! আর এরপরেই নড়েচড়ে বসেছে নয়াদিল্লি। এমনকি সেনা স্তরেও শুরু হয়েছে তৎপরতা। তাওয়াংয়ে ভারত এবং চিনের বাহিনীর মধ্যে সংঘাতের ঘটনা সামনে আসার পরেই উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয় সেনাস্তরে।
একেবারে দফায় দফায় স্থলসেনা এবং বায়ুসেনার উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেছেন বলে খবর।তবে ঘটনার পরেই সমস্ত ভারতীয় এজেন্সিগুলিকে হাই-অ্যালার্ট রাখা হয়েছে। বিশেষ করে সীমান্ত সংলগ্ন সমস্ত বায়ুসেনা ঘাটিগুলিতে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে বলে খবর।
এমনকি প্রতিরক্ষামন্ত্রক সুত্রে জানা যাচ্ছে, অসমের তেজপুর সহ একাধিক বায়ুসেনা ঘাঁটিগুলিকে অ্যালার্টে রাখা হয়েছে। এমনকি সেই তালিকাতে উত্তরবঙ্গের হাসিমারা-সহ গুরুত্বপূর্ণ বায়ুসেনা ঘাঁটিগুলি রয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে। বাংলার ক্ষেত্রে ‘চিকেন-নেক’ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফলে এই সতর্কতা বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে ঘটনার পর থেকেই অরুণাচল প্রদেশে চূড়ান্ত তৎপর ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্স। অরুণাচল প্রদেশের আকাশে নজরদারি চালাচ্ছে একাধিক যুদ্ধ বিমান। কোনও ভাবেই যাতে ভারতের আকাশসীমা চিনা কোনও যুদ্ধ বিমান না ক্রশ করতে পারে সেজন্যে এহেন তৎপরতা বলে জানা যাচ্ছে।
দিন-রাত এই নজরদারি চলছে বলেই খবর।অরুণাচল প্রদেশের পরিস্থিতির পরে মঙ্গলবারই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি বৈঠক করেছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গেও।
সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সিডিএসও। সেখানে অরুণাচল প্রদেশের পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা হয়েছে। গালওয়ান সংঘর্ষের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সেই পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। কোন পথে অরুণাচল প্রদেশে এগোনো হবে তা নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে। এই নিয়ে জোর তোরজোর চলছে।
একদিকে নেপাল অন্যদিকে বাংলাদেশ। মাঝে একটা ছোট অংশ। আর তা ভারতের নিয়ন্ত্রণে। জায়গাটা এতটাই ছোট যে সেটিকে মুরগির ঘাড়ের মতো দেখায়। উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে দেশের বাকিলাকার সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এটি। শিলিগুড়ি, মাটিগাড়া,
নকশালবাড়ি, ফাঁসিদেওয়া এবং চোপড়া ও ইসলামপুরের কিছুটা অংশ এই চিকেন’স নেকের মধ্যে রয়েছে। অনেকেই এটিকে শিলিগুড়ি করিডরও বলে। দেশের উত্তর-পূর্ব ভারতের সড়ক কিংবা রেল যোগাযোগের ক্ষেত্রে এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। ফলে এই অঞ্চল ভারতের হাতছাড়া হলে একটা বড় অংশের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলবে ভারত। আর তাই এই অঞ্চলকে সুরক্ষিত রাখতে সবসময়েই অ্যালার্টে রাখা হয় বায়ুসেনা ঘাটিগুলিকে।