ব্যুরো রিপোর্ট: করোনার ধাক্কা কাটিয়ে পূর্ণশক্তির দল নিয়েই অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল যশ ধুলের ভারত। কুলিজে সুপার লিগ দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে পরাস্ত হলো বাংলাদেশ। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১১১ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।
৫ উইকেট হারিয়েই প্রয়োজনীয় রান তুলে ফেলে ভারত। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে চারবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া।টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন ভারত অনূর্ধ্ব ১৯ অধিনায়ক যশ ধুল। ৭.৪ ওভারে ১৪ রানে প্রথম তিন ব্যাটারকে হারায় বাংলাদেশ।
তিনটি উইকেটই তুলে নেন বাংলার পেসার রবি কুমার। ১৫.৪ ওভারে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপের অর্ধেক ব্যাটারই প্যাভিলিয়নে ফেরেন। ২৩.৪ ওভারে ৫৬ রানে ৭ উইকেট পড়েছিল। এরপর অষ্টম উইকেট জুটিতে ওঠে ৫০ রান। ৩৭.১ ওভারে ১১১ রানে অল আউট হয়ে যায় রাকিবুল হাসানের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ।
এসএম মেহরব হাসান ৩০, আইচ মোল্লাহ্ ১৭ ও আশিকুর জামান ১৬ রান করেন, বাকিরা কেউ দুই অঙ্কের রান পাননি। অতিরিক্ত রান ১৮। রবি কুমার একটি মেডেন-সহ সাত ওভারে ১৪ রানের বিনিময়ে নেন ৩ উইকেট। ভিকি অস্টওয়াল ৯ ওভারে ২৫ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট দখল করেন।
রাজ্যবর্ধন হঙ্গরগেকর, কৌশল তাম্বে ও অঙ্গকৃষ রঘুবংশী একটি করে উইকেট নেন।জবাবে খেলতে নেমে দ্বিতীয় ওভারে স্কোরবোর্ডে কোনও রান ওঠার আগেই আউট হন হরনুর সিং। যদিও দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ফর্মে থাকা অঙ্গকৃষ রঘুবংশী ও শেখ রশিদ ৭০ রান যোগ করেন। রঘুবংশী ৪৪ ও রশিদ ২৬ রান করেন।
অভিষেক ম্যাচে সিদ্ধার্থ যাদব ৬ রান করেন।রাজ বাওয়া ফেরেন শূন্য রানে। ৭০ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ার পর ৮২ রানের মাথায় ভারতের চতুর্থ উইকেট পড়ে। ২৫.১ ওভারে ৯৭ রানের মাথায় পঞ্চম উইকেট হারায় ভারত। এরপর ৩০.৫ ওভারে ভারতকে পাঁচ উইকেটে জয় এনে দেয় যশ ধুল ও কৌশল তাম্বের জুটি।
ধুল ২০ ও তাম্বে ১১ রানে অপরাজিত থাকেন। ৯ ওভারে ১টি মেডেন-সহ ৩১ রানে ৪ উইকেট নেন রিপন মণ্ডল।রবি কুমার বলেন, সঠিক লাইন বজায় রেখেই উইকেট পেয়েছি। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আগেও খেলেছি। প্রথম ২০ ওভারে চাপ বজায় রাখার লক্ষ্য ছিল।
দলগত সংহতিতেই কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করে জয় নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে। গ্রুপ পর্বের ম্যাচের পর লম্বা বিরতিতে ভালো অনুশীলন করেছি সকলে মিলে। আগামী ম্যাচগুলিতেও অনেক কিছু শেখার বাকি রয়েছে। করোনা জয় করে দলের নেতৃ্ত্বে ফিরে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে খুশি যশ ধুল।
দলের টিম কম্বিনেশন, সতীর্থদের মধ্যে ভালো বোঝাপড়াতেই সাফল্য বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। ধুলের কথায়, কারও কোনও ম্যাচ খারাপ গেলে সকলে তাঁর পাশে থাকছি, যাতে পরের ম্যাচে ওই ক্রিকেটার ভালো খেলতে পারেন। বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
সাপোর্ট স্টাফদের অবদানের কথাও উঠে এসেছে ধুলের কথায়।অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে ভারত ৯টির মধ্যে সাতটি কোয়ার্টার ফাইনাল জিতল।
এদিন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হলো মধুর প্রতিশোধ। কারণ, ২০২০ সালে বাংলাদেশের কাছেই ফাইনালে ভারত পরাস্ত হয়েছিল। অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখাই এখন পরবর্তী টার্গেট ধুলদের।