নাটকীয় ভাবে লিগ কাপের ফাইনালে চেলসি বধ লিভারপুলের

নাটকীয় ভাবে লিগ কাপের ফাইনালে চেলসি বধ লিভারপুলের

ব্যুরো রিপোর্ট:  নাটকীয় ভাবে ইংলিশ ফুটবল লিগ কাপ ঘরে তুলল লিভারপুল। লিগ কাপ ঘরে তুলতে উইম্বলে স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল চেলসি এবং লিভারপুল। কোনও দলই প্রতিপক্ষকে এক ইঞ্চিও ছাড়েনি গোটা ম্যাচে।

য়ুর্গেন ক্লপ এবং থমাস টুচেল- উভয়ই প্রথম একাদশকে মাঠে নামিয়েছিল কিন্তু খেতাবি লড়াইয়ে দুই শক্তিশালী দলের অটুট ডিফেন্স ম্যাচকে টাই ব্রেকার এবং পরবর্তীতে সাডেন ডেথে নিয়ে যায়।মূলত মাঝমাঠেই সীমাবদ্ধ ছিল লিগ কাপের ফাইনাল।

লিভারপুলের পক্ষে বল পজিশন ছিল ৫৪ শতাংশ, চেলসির কাছে তা ছিল ৪৬ শতাংশ। গোটা ম্যাচে ৫৪৪টি পাস খেলেছে চেলসি যার মধ্যে ৭৬ শতাংশ পাস তারা সঠিক খেলেছে। সেখানে ৬৩৮টি পাসের মধ্যে লিভারপুল সঠিক পাস খেলেছে ৭৯ শতাংশ।

অতিরিক্ত সময়ে মিলিয়ে গোটা ম্যাচে মাত্র ছ’টি শট টার্গেটে রাখতে সক্ষম হয়েছিল লিভারপুল সেখানে চেলসি টার্গেটে রেখেছিল চারটি শট।মাঝমাঠ কেন্দ্রিক ফুটবল হলেও উভয়ই দলই গোল করার মতো একাধিক বড় সুযোগ তৈরি করেছিল।

চারটি সুযোগ তৈরি করে চারটিই হারায় লিভারপুল, ঠিক একই ভাবে তিনটি বড় সুযোগ নষ্ট করে চেলসি। তবে একটি ক্ষেত্রে চেলসির ভাগ্য প্রসন্ন না থাকায় নিশ্চিত গোল থেকে বঞ্চিত হতে হয় ব্লুজদের। মেসন মাউন্টের একটি শট বারের লেগে প্রতিহত হয়।

শটটি জালে থাকলে ম্যাচের ফলাফল অন্য রকম হতেই পারত।নির্ধারিত এবং অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচ গোলশূন্য থাকায় ম্যাচ গড়ায় টাই ব্রেকারে। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও দুই দলরে ফুটবলাররা নার্ভের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখেন।

ম্যাচ গড়ায় সাডেন ডেথে সাডেন ডেথের প্রথম পাঁচটি শটের নার্ভের নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছিলেন দুই দলের ফুটবলাররা। দশে দশ করার পর লিভারপুলের হয়ে ১১ নম্বর স্পট কিক থেকে গোল করেন কাওইমিন কেলেহার।

চেলসির হয়ে শেষ শট থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন পরিবর্তন হিসেবে নামা কেপা আলিজাবালাংপ্রথম থেকে চেলসির গোল দূর্গের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন এডুয়ার্ডো মেন্ডি। কিন্তু অতিরিক্তি সময়ের শেষ দিকে তাঁর পরিবর্তে পেনাল্টি কিক বাঁচানোর স্পেশ্যালিস্ট কেপাকে মাঠে নামায় চেলসি।

কিন্তু লিভারপুলের একটি শটও বাঁচাতে এ দিন পারেননি কেপা, বরং এই স্প্যানিয়ার্ডের স্পট কিক থেকে নেওয়া অফ টার্গেট শট চেলসির স্বপ্ন ভঙ্গ করে

।তবে, এই ম্যাচ আরও আগে জিততে পারত লিভারপুল। বিতর্কিত ভাবে দ্বিতীয়ার্ধে জোয়েল মাতিপের গোল বাতিল করে দেওয়া হয়। সামন্য অফ সাইডের কারণে সেই গোল বাতিল করে দেন রেফারি। ভিরজিল ভান ডিক সামান্য অফ সাইড থাকায় এই গোল বাতিল হয়ে যায়।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *