ব্যুরো রিপোর্ট: করোনা কালে বাড়ি থেকে স্কুল। ওয়ার্ক ফ্রম হোমের জেরে মোবাইল ফোনের ব্যবহার সকলের জীবনেই বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে শিশু এবং স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে। অনলাইনে স্কাসের জেরে মোবাইলের প্রতি তাঁদের এক প্রকার অ্যাডিকশন তৈরি হয়েছে। যা কাটানো তো দূরের কথা উল্টে উত্তোরোত্তর বেড়ে গিয়েছে।
যাতে সময়ে ছেলেমেয়েদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা যায় তার জন্যই বাবা-মায়েররা স্মার্টফোন তুলে দেন ছেলেমেয়েদের হাতে। সেই স্মার্টফোন যে কত বড় কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে সেটা প্রতিদিন খবর দেখলেই বোঝা যায়। মোবাইলে ভিডিওগেম খেলা থেকে শুরু করে সাইবার বুলিং এমন পর্ন সাইটে ঢুকে পড়ার ঘটনাও ঘটছে।খেলা ধুলো গল্পের বই পড়া এক প্রকার লাটে উঠেছে তাদের।
পড়াশোনার মাঝে ফাঁক পেলেই মোবাইল ফোনে মজে যাচ্ছে তারা। সেখান থেকে তৈরি হচ্ছে নানা সমস্যা। মনে রাখার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে তারা। এমনকী নিজেদের স্বাবাবিক চিন্তা করার ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলছে শিশু কিশোররা। ডিক্সনারি না দেখে গুগলে মজে থাকছে তারা। এতে প্রবল পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে। মেধার মান কমে যাচ্ছে।যা নিয়ে রীতিমতো চিন্তিত ইউনেস্কো।
এবার থেকে স্কুলে স্মার্ট ফোনের ব্যবহার বন্ধ করার পরিকল্পনা নিয়েছে তারা। সব স্কুলে স্মার্ট ফোনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। শিক্ষকদেরও ডিজিটাল টিচিংয়ে না গিয়ে মুখোমুখি পড়ানোর জন্য জোর দেওয়া হচ্ছে। পড়ুয়াদের মৌখিকভাবে প্রতিটি বিষয়ের উপর ব্যাখ্যা এবং বুদ্ধি দিয়ে কীভাবে বিচার করতে হবে সেই শিক্ষা দেওয়ার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
এমন কী এআইয়ের ব্যবহারও বন্ধ করতে বলা হচ্ছে। প্রায় সব দেশকেই স্কুলে স্মার্টফোনের ব্যবহার বন্ধ করার অনুরোধ জানিয়েছে ইউনেস্কো। তাতে শিশু এবং কিশোরদের স্বাভাবিক বিকাশ হওয়া জরুরি বলে মনে করছেন তাঁরা।
ইতিমধ্যেই ইউনেস্কোর প্রস্তাব মেনে ৬টি দেশ স্কুলে মোবাইলের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। তার মধ্যে ব্রিটেন রয়েছে। ব্রিটেনে সব স্কুলে মোবাইল স্মার্টফোনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জোর দেওয়া হয়েছে নিয়মানুবর্তিতার উপরে। ভারতে কবে থেকে তা কার্যকর করা হবে সেটা এখনও নিশ্চিত নয়।